বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচে ডেভন কনওয়ে ও রাচিন রবীন্দ্র’র জোড়া সেঞ্চুরিতে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডকে ৯ উইকেটে উড়িয়ে দিয়েছে নিউজিল্যান্ড। ইংলিশদের করা ২৮২ রান তাড়া করতে নেমে কনওয়ে-রবীন্দ্র’র ওই জোড়া সেঞ্চুরিতে হয়েছে বেশ কিছু রেকর্ড।
কনওয়ে ও রাবীন্দ্র বিশ্বকাপের চতুর্থ সর্বোচ্চ জুটির রেকর্ড গড়েছেন। ২০১৫ বিশ্বকাপে গ্রিস গেইল ও মারলন স্যামুয়েলস জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৩৭২ রানের জুটি গড়েছিলেন। সৌরভ গাঙ্গুলি ও রাহুল দ্রাবিড় ১৯৯৯ বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৩১৮ রানের জুটি দিয়েছিলেন।
২০১১ বিশ্বকাপে তিলেকারত্নে দিলশান ও উপুল থারাঙ্গা গড়েছিলেন ২৮২ রানের জুটি। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে এসেছিল তাদের ওই জুটি। এবার ডেভন কনওয়ে ও রাচিন রাবীন্দ্র ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দিলেন ২৭৩ রানের জুটি। ২০১৫ বিশ্বকাপে ডেভিড ওয়ার্নার ও স্টিভ স্মিথ আফগানিস্তানের বিপক্ষে ২৬০ রানের জুটি গড়েছিলেন।
বিশ্বকাপ অভিষেকে তৃতীয় কনিষ্ঠ ক্রিকেটার হিসেবে সেঞ্চুরি পেয়েছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত রাচিন রবীন্দ্র। ২৩ বছর ৩২১ দিনে সেঞ্চুরি পেয়েছেন তিনি। সবচেয়ে কম বয়সে সেঞ্চুরির রেকর্ড বিরাট কোহলির। তিনি ২০১১ বিশ্বকাপে ২২ বছর ১০৬ দিনে বাংলাদেশের বিপক্ষে সেঞ্চুরি করেন। ১৯৯২ বিশ্বকাপ অভিষেকে অ্যান্ডি ফ্লাওয়ার সেঞ্চুরি পেয়েছিলেন ২৩ বছর ৩০১ দিনে।
বিশ্বকাপ অভিষেকে সবচেয়ে বেশি বয়সে সেঞ্চুরির কীর্তি গড়েছেন ডেভন কনওয়ে। ২০০৭ বিশ্বকাপে আয়ারল্যান্ডের জেরমি বেরি ৩৩ বছর ১০৫ দিনে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সেঞ্চুরি পেয়েছিলেন। কনওয়ে ৩২ বছর ৮৯ দিনে সেঞ্চুরি পেলেন।
ভারতে অনুষ্ঠিত ওয়ানডে বিশ্বকাপ মিশন জয় দিয়ে শুরু করেছে নিউজিল্যান্ড। ডেভন কনওয়ে ও রাচিন রবীন্দ্রর জোড়া সেঞ্চুরিতে ইংল্যান্ডকে গুঁড়িয়ে নিউজিল্যান্ড যেন জানিয়ে দিল ২০২৩ বিশ্বকাপে তাদের আগমনী বার্তা। কনওয়ে অপরাজিত ছিলেন ১২১ বলে ১৫২ রানে। রাচিন ১২৩ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেছেন ৯৬ বলে।
ইনজুরির কারণে এই ম্যাচে খেলেননি নিয়মিত অধিনায়ক কেইন উইলিয়ামসন। তার জায়গায় ব্যাটিংয়ে নেমে সেই অভাব বুঝতেই দেননি রাচিন।
ম্যাচসেরা হয়ে ২৩ বছর বয়সী এই অলরাউন্ডার বলেন, মাঝেমধ্যে অবিশ্বাস্য লাগে, তবে দুর্দান্ত একটি দিন কাটিয়ে অসাধারণ লাগছে। বোলাররা ভালো বোলিং করেছে এবং সৌভাগ্যবশত আমি উইকেটে গিয়ে ডেভনকে পেয়েছি।
তিনি বলেন, ডেভনের সঙ্গে অনেক সময় কেটেছে আমার এবং আমরা খুবই ঘনিষ্ঠ বন্ধু। সে-ই আমাকে বলে কীভাবে কী করতে হবে। তাই উইকেটে ঠান্ডা মাথায় ব্যাট করছিলাম। চার-পাঁচ বছর আগে থেকেই আমরা সবাই জানতাম ডেভন কেমন খেলোয়াড় হতে যাচ্ছে। কিছুটা সুইং থাকলেও উইকেট ব্যাটিংয়ের জন্য খুবই ভালো ছিল, প্রস্তুতি ম্যাচের মতো।