আদিত্য আলম..
বাংলাদেশের একজন খ্যাতিমান পরিচালক, অভিনেতা ও নাট্য রচয়িতাই নন। তিনি একজন মানবিক কাজের অনুকরণীয় উদাহরন। মিডিয়ার জনপ্রিয়তা নিয়ে থাকতে পারতেন। অন্যান্য মিডিয়ার লোকজন যা করে আদিত্য আলম সবার চেয়ে ব্যাতিক্রম। কখনো ভাবেননি মানবিক কাজের জন্য কখনো তাকে এতবড় মূল্যায়ন করবে দেশ না বিদেশ। তাও আবার লন্ডনের DLM প্রতিষ্ঠান। যারা সারাবিশ্বের মানবিক কাজের অনুকরণীয় মানুষকে মূল্যায়ন করে। কয়দিন আগে ধানমন্ডির গণস্বাস্থ্য হাসপাতালের অডিটোরিয়াম এ জাকজমকপুরন অনুশঠানের মধ্যে দিয়ে আদিত্য আলমের হাতে ক্রেস্ট ও সাটিফিকেট তুলে দেওয়া হয়।
অনুস্টানে বিদেশীরা ছাড়াও এদেশের খ্যাতিমান ব্যাক্তিগনও উপস্থিত ছিলেন। ডা, জাফরুল্লাহ চৌধুরী, মেজর জেনারেল ইব্রাহিম (অব) কবি ফরহাদ মাজহার ও জনপ্রিয় অভিনেতা মোশাররফ করিম।
আদিত্য আলম ৮৮ র ভয়াবহ বন্যায় টিএসসিতে রুটি বানিয়ে ঢাকার অসহায় মানুষের দ্বারে দ্বারে দিয়ে আসতেন। সেই সময়ের মঞ্চ, মিডিয়ার লোকদের মত ত্রান নিয়ে নিজ নিজ এলাকায়, জেলায় নিয়ে যাওয়ার কথা আদিত্য আলমের মাথায়ও আসেনি। সেই থেকে আদিত্য আলম শপথ করেন, যেখানে, যাদের প্রোয়োজন পড়বে, সেখানেই আদিত্য আলম ঝাপিয়ে পড়বে অসহায় মানুষের পাশে। শুধু বন্যার্ত মানুষের পাশেই আদিত্য আলম দাড়াননি। মেডিকেলে অসহায় রোগী, এতিমখানায় অসহায় এতিম শিশুদের পাশে, শেরপুর শ্রীবরদীর কালা খালার চিকিৎসা করেছেন। তার অসহায় শিশুদের পাশে থেকেছেন। তার মানবিক কাজের সংগঠনের নাম “সমমনা আমরা, মানবতায় আমরা “।
নেট দুনিয়ার কল্যানে আদিত্য আলমের মানবিক কাজের ভিডিও, ছবি সারাবিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে। কখন আদিত্য আলম গাইবান্ধার ফুলছড়ি গ্রামে, জামালপুরের কাচিহারা, নীলফামারীর তিস্তা ব্যারেজে, ঢাকার বস্তিতে বস্তিতে, সদ্য আগত নিপিড়ীত রোহিঙ্গাদের পাশে, রাংগামাটিতে পাহাড় ধ্বংস হলো, সেখানেও আদিত্য আলম। সারাবিশ্বের অসহায় মানুষের জন্য যারা কাজ করে, তাদের নজরে সব সময় ছিলেন আদিত্য আলম। মানবিক ছিল সম্পর্কে আদিত্য আলম বললেন, আমার কাছে মিডিয়া, চলচ্চিত্রের জনপ্রিয়তা মুখ্য নয়। মানুষ আমার কাছে মুখ্য। যেখানে অসহায় মানুষ, সেখানেই আমি। সেখানেই আমার ” সমমনা আমরা, মানবতায় আমরা “।