জ. নি. প্রতিবেদকঃ একই মঞ্চে একসঙ্গে ‘আজীবন সম্মাননা’য় ভূষিত হতে যাচ্ছেন বাংলাদেশের নাটক, চলচ্চিত্রের জীবন্ত কিংবদন্তি অভিনেত্রী ডলি জহুর, বাংলাদেশের মডেল ফটোগ্রাফির অগ্রপথিক আলোকচিত্রশিল্পী চঞ্চল মাহমুদ ও দেশের প্রতিথযশা নৃত্যশিল্পী, নৃত্য প্রশিক্ষক ও অভিনেত্রী মুনমুন আহমেদ। আগামীকাল ৯ সেপ্টেম্বর বিকাল ৫টায় রাজধানীর খামারবাড়ির কৃষিবিদ মিলনায়তনে ‘বাবিসাস’র (বাংলাদেশ বিনোদন সাংবাদিক সমিতি) ২২তম আসরে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমানের হাত থেকে তারা ‘আজীবন সম্মাননা’ গ্রহণ করবেন বলে নিশ্চিত করেছেন বাবিসাস সভাপতি আবুল হোসেন মজমুদার ও সাধারণ সম্পাদক মো. সামছুল হুদা ।
বাবিসাসের ২২তম আসরের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সচিব ফারুক হোসেন মজুমদার জানান, এমন তিনজনকেই নির্বাচিত করা হয়েছে যারা এর আগে বাবিসাস থেকে আজীবন সম্মাননা পাননি। যে কারণে অতীতের প্রাপ্তদের তালিকা খতিয়ে দেখতে হয়েছে। আজীবন সম্মাননাপ্রাপ্তি প্রসঙ্গে ডলি জহুর বলেন, ‘অবশ্যই এ বিষয়টি আমার জন্য অনেক সম্মানের। এমন একটি বড় পরিসরের আয়োজনে আমাকে চূড়ান্ত করার জন্য বাবিসাস-সংশ্লিষ্ট প্রত্যেকের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা। অন্যান্য শাখায় আরো যারা সম্মাননা পাবেন তাদের প্রতি অগ্রিম অভিনন্দন।’
মুনমুন আহমেদ বলেন, ‘আজীবন সম্মাননাপ্রাপ্তি বিষয়টি সত্যিই অনেক বড় ব্যাপার। আমাকে এই সম্মাননা দেওয়া হচ্ছে খবরটি পাওয়ার পরই যেন ভীষণ ভালো লাগা কাজ করেছে । জানি না এ দেশের সংস্কৃতিতে আমার অবদান কতটুকু । তবে যতটুকু অবদানই আছে তাকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে আমাকে যে সম্মাননা দেওয়া হচ্ছে, এটাই আমার জন্য সত্যিই অনেক আনন্দের। সবার কাছে দোয়া চাই।’
চঞ্চল মাহমুদ বলেন, ‘এর আগে দেশের বিভিন্ন সংগঠন থেকে ফটোগ্রাফিতে নিজের সেরা কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ সম্মাননা পেয়েছি। দেশের বাইরে থেকেও পেয়েছি। তবে দেশের বড় কোনো পুরস্কার প্রদানের আসরে এবারই প্রথম আমার আজীবন সম্মাননা পেতে যাওয়া। আমি বিশেষত ধন্যবাদ জানাই বাবিসাস সভাপতি আবুল হোসেন মজুমদার, সাধারণ সম্পাদক মোঃ সামছুল হুদা ও সাংবাদিক অভি মঈনুদ্দীনকে আমাকে এত বড় সম্মাননায় ভূষিত করার জন্য। ফটোগ্রাফিকে ভালোবেসে সারাটা জীবনই পার করে দিয়েছি। এ দেশের বিভিন্ন সেক্টরে তারকা সৃষ্টির ক্ষেত্রে আমার যে ভূমিকা তা আজ নতুন করে বলার কিছু নেই। একটা কথাই শুধু বলব, তারকারা বড় হয়ে অতীত ভুলে যান । এই অকৃতজ্ঞতার মানসিকতা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। তা না হলে আমরা তারকা পাব হয়তো কিন্তু সত্যিকারের তারকা পাব না। কারণ যার মধ্যে মানবিকতা নেই, কৃতজ্ঞতাবোধ নেই সে বা তিনি সত্যিকারের তারকা নন ।