গত ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২১, রোজ শনিবার কেন্দ্রীয় কচিকাঁচা মিলনায়তনে পাংশা-কালুখালী উপজেলা সমিতি ঢাকা’র আয়োজনে অনুষ্ঠিত হযে গেলো বিগত বছর ও এবছর মহামারী করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন যে ৬ জন ব্যাক্তি, সেই মৃত ৬জন দেশের মহামানব তথা পাংশা-কালুখালী উপজেলা সমিতির আজীবন সদস্যদের স্মরণে স্মরণ সভা। যে ৬ জন ব্যাক্তিবর্গগণ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু বরণ করেছেন, স্ব-স্ব ক্ষেত্রে তাঁরা ছিলেন যেমন দেশের উজ্জ্বল নক্ষত্র তেমনই এই সমিতিতেও ছিলেন নিবেদিত প্রাণ, আস্থাভাজন সহযোদ্ধা। তাঁরা বিভিন্ন সময়ে সমিতির, দেশের, মানুষের কল্যাণে, পরিবারের আপনজন হয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। তাঁদের আত্মার শান্তি ও মাগফিরাত কামনায় পাংশা-কালুখালী উপজেলা সমিতি ঢাকা’র উদ্যোগে এ স্মরণ সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। নিম্নে সদ্য প্রয়াত এ ৬ জন মনিষীর সংক্ষিপ্ত জীবন বৃত্তান্ত তুলে ধরছি।মরহুম জনাব মোতাহার হোসেনঃ
জনাব মোতাহার হোসেন তৎকালীন পাংশা উপজেলা বর্তমান কালুখালী উপজেলার পাটবাড়িয়া গ্রামে ৩০ অক্টোবর, ১৯৩৭ সনে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।
তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ও লন্ডন স্কুল অব ইকোনমিক্স হতে অর্থনীতি বিষয়ে পড়াশুনা করেন। পরবর্তীতে তিনি ম্যানচেস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্সটিটিউট অব ডেভেলপমেন্ট পলিসি এন্ড ম্যানেজমেন্ট, বিশ্বব্যাংকের ইকোনমিক ডেভেলপমেন্ট ইন্সটিটিউট, ওয়াশিংটন ডিসি, হাওয়াই ইউনিভার্সিটি, হনোলুলু, কোরিয়া ডেভেলপমেন্ট ইন্সটিটিউট, সিউল এন্ড স্ট্যাটিস্টিক্যাল ইন্সটিটিউট অব এশিয়া এন্ড প্যাসিফিক, টোকিও জাপান হতে উচ্চতর প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত।
বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা ও গবেষেণায় তাঁর প্রাথমিক কর্মজীবনের পর তিনি সরকারী চাকরীতে যোগদান করেন এবং তিনি পরিসংখ্যান বিভাগ ও সংস্থাপন বিভাগে উপসচিব পদে, স্থানীয় সরকার, ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা এবং সংস্থাপন মন্ত্রণালয়ে যুগ্ম সচিব হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তিনি অতিরিক্ত সচিব হিসেবে অর্থ মন্ত্রণালয়ের এবং বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশনে চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
জনাব মোতাহার হোসেন বিভিন্ন গবেষণাবিষয়ক প্রকাশনা এবং নয়টি বৃহৎ পড়ার বই লিখেছিলেন। তিনি অর্থনীতিতে (অর্থ ও পরিসংখ্যান) অসামান্য অবদানের জন্য ২০০৮ সালের সেপ্টেম্বর মাসে মহাত্মা গান্ধী শান্তি পুরস্কারে ভূষিত হন।
জনাব মোতাহার হোসেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের অতিরিক্ত অর্থ সচিব হিসেবে বিগত ১৯৯৪ সালে অবসর গ্রহণ করেন। অবসরের পরবর্তীতে তিনি প্রশাসনিক সংস্কার কমিশন ও টার্নওভার ট্যাক্স কমিশনে পূর্ণকালীন সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
তিনি পাংশা-কালুখালী উপজেলা সমিতির সভাপতি হিসেবে দীর্ঘ ১০ বছর দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়া বাংলা একাডেমী, বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি এবং বাংলাদেশের পরিসংখ্যান সোসাইটির আজীবন সদস্য ছিলেন। এই গুণী মানুষটি গত ২৭ ডিসেম্বর ২০২০ তারিখে মৃত্যু বরণ করেন। মৃত্যুকালে তিনি তিন পুত্র ও এক কন্যা সন্তান রেখে গেছেন।
মরহুম প্রফেসর ড. কে. এম মোহসিনঃ
প্রফেসর ড. কে. এম মোহসিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথিতযশা শিক্ষক, প্রখ্যাত ইতিহাসবিদ ও সজ্জন ব্যাক্তি ছিলেন। তিনি ঢাবি’র ইতিহাস বিভাগের চেয়ারপার্সন, কলা অনুষদের ডিন, শিক্ষক সমিতির সভাপতি, স্যার সলিমুল্লাহ হলের প্রোভোষ্ট ও বাংলাদেশ ইতিহাস সমিতির সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।
প্রফেসর ড. কে. এম মোহসিন ঢাকক ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির (ডিআইইউ) ২য় মেয়াদেও উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পালনরত ছিলেন।
প্রখ্যাত ইতিহাসবিদ হিসেবে তিনি বেশি পরিচিত ছিলেন। তিনি ১৮৩৮ সনের ৭ মে তৎকালীন ফরিদপুর, বর্তমানে রাজবাড়ী জেলার পাংশা উপজেলার হাবাসপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। সেনগ্রাম এম ই স্কুলের মেধাবী ছাত্র কে. এম মোহসিন ষষ্ঠ শ্রেণীতে বৃত্তি সহকারে সেখানকার পাঠ শেষ করে নিজের বাড়ীর কাছে হাবাসপুর কে রাজ উচ্চ বিদ্যালয়ে ১৯৫০ সালে সপ্তম শ্রেণীতে ভর্তি হন। অত্যন্ত মেধাবী এ ছাত্র কৃতিত্বের সাথে ১ম বিভাগে এন্ট্রাস (মেট্রিকুলেশন) পাস করে ১৯৫৪ সালে ফরিদপুর রাজেন্দ্র কলেজে ভর্তি হন এবং ১৯৫৬ সালে কলেজ থেকে ১ম বিভাগে উত্তীর্ণ হবার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইতিহাস বিভাগে ভর্তি হন এবং ১৯৫৯ সালে গ্রাজুয়েশন করে পরের বছরে পোষ্ট গ্রাজুয়েশন (এমএ) শেষ করেন। তিনি ১৯৬৬ সালে ইউনিভার্সিটি অব লন্ডনের স্কুল অব ওরিয়েন্টাল এন্ড আফ্রিকান স্টাডিজ থেকে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন। তিনি লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ে কমনওয়েলথ একাডেমিক স্টাফ ফেলো, ওসাকা ইউনিভার্সিটি অব ফরেন স্টাডিজ এ জাপান ফাউন্ডেশন ফেলো হিসেবে গবেষণা করেন।
প্রফেসর ড. কে. এম মোহসিন এর লেখা আন্তর্জাতিকভাবে সমাদৃত সাতটি বই ও পঁয়ত্রিশটি প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। বাংলাদেশের স্বাধীনতার দলিল ৪র্থ খন্ডের সংগৃহীত তথ্যের যথার্থতা যাচাই, উৎসসহ বিশুদ্ধতা প্রামাণীকরণ এবং অনুমোদন বিষয়ে গঠিত কমিটির একজন সম্মানিত সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়াও তিনি বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি, রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি, এশিয়ার ইতিহাসবিদদের আন্তর্জাতিক সংগঠন, বাংলাদেশ স্কাউড, ইউসেফ বাংলাদেশসহ বিভিন্ন সংগঠনের সদস্য/সভাপতি/উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করেছেন। তিনি রাজবাড়ী জেলা সীমিত ও পাংশা-কালুখালী উপজেলা সমিতির সভাপতি এবং উপদেষ্টা ছিলেন। এলকার উন্নয়নে স্বল্পভাষী এ মানুষটি নিরবে কাজ করেছেন। তিনি ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২১ তারিখ সকালে রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৩ বছর। তাঁর মৃত্যু দেশের উচ্চশিক্ষা ক্ষেত্রে এক অপূরণীয় ক্ষতি।
মরহুম অ্যাড. আব্দুর রাজ্জাক মিয়াঃ
অ্যাড. আব্দুর রাজ্জাক মিয়া পাংশা উপজেলার মুছিদহ বনগ্রামে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। অ্যাড. আব্দুর রাজ্জাক মিয়া জর্জ কোট, হাই কোট ও সুপ্রিম কোট এ আইন পেশায় জড়িত ছিলেন। তিনি একজন দক্ষ আইনজীবি হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন। তিনি তাঁর গ্রামের বাড়িতে বেশকিছু জনহিতকর কাজ করে গেছেন।
তিনি পাংশা-কালুখালী উপজেলা সমিতি ঢাকা’র সৃষ্টিলগ্ন থেকে জড়িত ছিলেন। অসহায় মানুষকে তিনি বিনাপয়সায় আইনি সহায়তা দিতেন। সমিতির জন্য তিনি একজন নিবেদিত মানুষ ছিলেন। তিনি সমিতির সিনিয়র সহ সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি স্ত্রী, দুই ছেলে ও এক মেয়ে রেখে গেছেন।
২০২০ এর সেপ্টেম্বর মাসে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে শেখ রাসেল গ্যাস্টলিভার হাসপাতালে ভর্তি হন এবং ২ অক্টোবর ২০২০ সালে না ফেরার দেশে পারি জমান।
মরহুম কাজী আলী আজমঃ
মরহুম কাজী আলী আজম কারোর কাছে মঞ্জু ভাই, কারোর কাছে কাজী ভাই, আবার কারোর কাছে আজম চাচা। নিরহংকার এই মানুষটি ১৯৪৫ সালে ৩১ ডিসেম্বর মাঝবাড়ী গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। পিতা রেজিস্টার্ড জোতদার তালুকদার কাজী আব্দুল আলী এবং ধার্মিক মাতা সৈয়দা আছিয়া খাতুনের কনিষ্ঠ সন্তান ছিলেন মরহুম কাজী আলী আজম।
তিনি ছোটবেলায় পিতাকে হারিয়ে মূলত মেঝ ভাই কর্নেল আলী আশরাফের সাথে বিভিন্ন সেনানিবাসে বেড়ে উঠেন। তিনি যশোর এম এম কলেজ থেকে মাধ্যমিক ও ঢাকা কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করে করাচী পাড়ি জমান। করাচী থাকাকালীন সময়ে ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে তিনি দেশে ফিরে সরাসরি মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন।
যুদ্ধপরবর্তী সময়ে তিনি চন্দনা ট্রেডিং নামে একটি কেমিক্যাল তৈরির কারখানা স্থাপন করেন। মৃত্যুর কিছুদিন আগ পর্যন্ত তিনি এই ব্যবসা ধরে রাখেন। তাঁর বড় ভাই মরহুম আলী আহমদ এর পদাঙ্ক অনুসরণ করে তিনি সমিতির প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে এই সমিতির সাথে যুক্ত ছিলেন। মৃত্যু পূর্বপর্যন্ত তিনি সমিতির অন্যতম সহ সভাপতি হিসেবে দায়িত্বরত ছিলেন।
মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী ও দুই কন্যা সন্তান রেখে গেছেন। মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে চিরনিদ্রায় সমাহিত করা হয়েছে।
মরহুম কাজী খালেক বীন আহমেদঃ
মরহুম কাজী খালেক বীন আহমেদ ১৯ আগস্ট ১৯৫৩ সালে কালুখালী উপজেলার মাজবাড়ী গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।
কাজী খালেক বীন আহমেদ ঢাকার ওয়েস্ট এন্ড হাই স্কুল থেকে মেট্রিক, নিউ মডেল ডিগ্রী কলেজ থেকে এইচএসসি এবং গ্রাজুয়েশন ডিগ্রী লাভ করেন। এরপর তিনি ১৯৭২ সালে ঢাকার ফ্লাইং ক্লাব থেকে বিমান চালানোর প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন এবং ১৯৭৪ সালে বিমান বাংলাদেশ এয়ার লাইন্সে বৈমানিক হিসেবে চাকরীতে যোগদান করেন। তিনি এফ-২৭, এফ-২৮, বোয়িং ৭০৭ এবং ডিসি টেন অত্যন্ত দক্ষতার সংগে ফ্লাই করতেন। কাজী খালেক বীন আহমেদ দীর্ঘ ২২ বছর বৈমানিক হিসেবে চাকরী করার পর ১৯৯৬ সনে চাকরী থেকে স্বেচ্ছায় অবসরগ্রহণ করেন।
কাজী খালেক বীন আহমেদ এই সমিতির সহ সভাপতি হিসেবে সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করেন। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি এই সমিতির সম্মানীত উপদেষ্টার পদ অলংকৃত করেন। তিনি ২০১৮ সালের নভেম্বর মাসে হঠাত করে কিডনির জটিলতায় অসুস্থ হয়ে পরেন এবং পরে তিনি মৃত্যু বরণ করেন।
ব্যাক্তি জীবনে তিনি ৪ সন্তানের জনক। তাঁর স্ত্রী কাজী কাসানা খালেদ এই সমিতির বর্তমান কার্যনির্বাহী পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। কাজী খালেক বীন আহমেদ এর মত অসম্ভব এই গুণী লোকটিকে হারিয়ে সমিতির সকল মানুষ গভীরভাবে শোকাহত।
মরহুম কাওসার উদ্দিনঃ
পাংশা-কালুখালী উপজেলা সমিতি ঢাকা’র জন্য নিবেদিতপ্রাণ এই মানুষগুলোর জন্য সমবেদনা জ্ঞাপন করছে এবং তাঁদের স্মরণে স্মরণ সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে কেন্দ্রীয় কচিকাঁচা মিলনায়তনে।
সমিতির বর্তমান সভাপতি, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সাবেক সচিব জনাব খোন্দকার মো. আসাদুজ্জামান ও সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো’র তদন্ত কর্মকর্তা জনাব মো. মঞ্জুর কাদীরসহ সমিতির নিবেদিতপ্রাণ সকল সদস্য উক্ত স্মরণ সভার সফল আয়োজন করেন। স্মরণ সভায় সদ্যপ্র্যায়াত মরহুমদের স্মরণে স্বাগত বক্তব্য ও সমবেদনা জ্ঞাপন করেন যথাক্রমে-
পাংশা-কালুখালী সমিতির বর্তমান সহ সভাপতি এস এম আজিজুর রহমান, সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক নাজমুল হাসান মিন্টু, সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. তোফায়েল আহমেদ তোয়হা, সদ্যপ্রয়াত মরহুম কাজী খালেদ বিন আহমেদ এর স্ত্রী ও সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কাসানা খালেদ, সদ্যপ্রয়াত মরহুম মোতাহার হোসেন এর পুত্র মো. তারেক হাসান, সমিতির সহ সভাপতি ড. নিহাল উদ্দিন, বাংলাদেশ পাসপোর্ট অধিদপ্তর এর সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক মো. সিরাজ উদ্দিন, সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. জাহিদুল ইসলাম, ঢাকা কলেজের সাবেক ভাইস প্রিন্সিপাল প্রফেসর মো. আকবর হোসেন, সদ্যপ্রয়াত মরহুম কাজী আলী আজম কন্যা ফাহিমা আজম অরণা, সমিতির বর্তমান সাধারণ সম্পাদক মো. মঞ্জুর কাদীর, সমিতির সহ সভাপতি এম এ এম ইফতেখার রফিক, সমিতির সিনিয়র সহ সভাপতি মো. হাবিবুর রহমান, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের অতিরিক্ত সচিব ও সমিতির সম্মানীত উপদেষ্টা রাম চন্দ্র দাস, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইন্সটিটিউট এর সাবেক সচিব ও সমিতির সম্মানীত উপদেষ্টা ড. এম এম মাজেদ।
উক্ত স্মরণ সভায় সভাপতিত্ব করেন ও সমাপনি বক্তব্য ও সমবেদনা জ্ঞাপন করেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সাবেক সচিব ও সমিতির বর্তামান সভাপতি খোন্দকার মো. আসাদুজ্জামান।
দোয়া মাহফিল পরিচালনা করেন মাওলানা মো. শহিদুজ্জামান এবং সমগ্র অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করেন শিউলী রানী বালা।
স্মরণ সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানের পূর্বে একই দিনে কচিকাঁচা মিলনায়তনের তৃতীয় তলায় পাংশা-কালুখালী উপজেলা সমিতির উপস্থিত সদস্যদের নিয়ে এক মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়। মতবিনিময় সভায় সমিতির সদ্যপ্রয়াত সদস্যদের শূণ্যস্থান পূরণ ও আগামীর করণীয় বিষয়ে আলোচনা করা হয়।