বনানীর আরবিআইসি’র নতুন অফিসে আজ দুপুরে ছিল এক ভিন্ন রকম পরিবেশ। টেবিলজুড়ে খাবারের ঘ্রাণ, সহকর্মীদের হাসি আর একসঙ্গে খাওয়ার উচ্ছ্বাস- সব মিলিয়ে অফিস যেন পরিণত হয়েছিল এক পরিবারের মিলনমেলায়।
এই আনন্দময় আয়োজনের মূল উদ্যোক্তা ছিলেন সাংবাদিক শেখ মো. বেলায়েত হোসেন। ব্যস্ত কাজের ফাঁকেও তিনি সময় বের করে নিজ হাতে রান্না করে এনেছিলেন খিচুড়ি ও নানারকম ভর্তা। উদ্দেশ্য একটাই- সহকর্মীদের সঙ্গে আনন্দ ভাগাভাগি করা।
আগের রাতে সহকর্মীদের উদ্দেশে হোয়াটসঅ্যাপে পাঠান ছোট্ট একটি বার্তা- “কাল অফিসে একসঙ্গে খাই, ছোট্ট একটা আয়োজন আছে।”
পরদিন দুপুরে সবাই যখন অফিসে খাবার টেবিলে বসেন, তখনই শুরু হয় চমকের পর চমক। একে একে টেবিলে আসে ধোঁয়া ওঠা সবজি খিচুড়ি, রুইমাছ ভর্তা, টাকিমাছ ভর্তা, শুঁটকি ভর্তা, বরবটি ভর্তা সহ বাহারি রকমের ভর্তা। সবচেয়ে বড় চমক- সব খাবারই বেলায়েতের নিজের হাতে রান্না।
আরবিআইসির সিনিয়র ক্যামেরা পারসন ফরিদুল আলম ফরিদ বলেন, “আমরা অবাক হয়েছি, একজন সাংবাদিক এত ব্যস্ততার মধ্যে এমন আয়োজন করতে পারেন! বেলায়েত ভাইয়ের রান্না যেমন দারুণ, তেমনি তাঁর ভালোবাসাটা মন ছুঁয়ে গেছে।”
অফিসের সহকর্মী ও গ্রাফিক্স ডিজাইনার মেহেদি হাসান বলেন, “এটা শুধু আপ্যায়ন নয়, সহকর্মীদের মধ্যে সম্পর্ক আরও দৃঢ় করার এক আন্তরিক প্রয়াস। কাজের চাপের ভেতর এমন মুহূর্ত সত্যিই মন ভালো করে দেয়।”
সাংবাদিক মনির হোসেন বলেন, “এমন ছোট আয়োজনও বড় প্রভাব ফেলে। সহকর্মীদের প্রতি এই আন্তরিকতা সত্যিই প্রশংসার যোগ্য।”

খাবারের পর সবাই প্রশংসায় ভরিয়ে দেন বেলায়েতকে। উপস্থিত ছিলেন আইডিএন টিভির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) শাকিল বিন মোস্তাক এবং আরবিআইসির উপদেষ্টা ও বিশিষ্ট সাংবাদিক মাজহারুল ইসলাম খান।
মাজহারুল ইসলাম খান বলেন, “বেলায়েতের মতো মানুষ অফিসে সৌহার্দ্য তৈরি করেন। এই ধরনের উদ্যোগ টিমের বন্ধনকে আরও দৃঢ় করে।”
আয়োজন শেষে অফিসজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে আনন্দ আর কৃতজ্ঞতার আমেজ। আরবিআইসির প্রডিউসার ও স্ক্রিপ্ট রাইটার মতিন সাগর মজা করে বলেন, এমন আয়োজনে বেলায়েত ভাই শিখিয়ে দিল যেনো পর্যায়ক্রমে সবাই এই ধরনের আয়োজনে আগ্রহী হয়। সত্যি এমন উদ্যোগ আরও হওয়া দরকার।”
দুপুরের এই ছোট আয়োজন শেষ পর্যন্ত অফিসের সবার মনে ছুঁয়ে গেল গভীর এক অনুভূতি-সহকর্মীদের প্রতি ভালোবাসা ও বন্ধনের উষ্ণতা।