ঢাকার উত্তরায় ঘটে যাওয়া ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনার পর হাসপাতালের করিডোরে, রাস্তায়, ভিড়ের মাঝে এক মায়ের আর্তনাদ কাঁপিয়ে দেয় উপস্থিত সবাইকে—
“আমার ছেলে কই? কেউ আমার ছেলেকে দেখেছেন? আমার ছেলে কই রে!”
চারদিকে যখন আতঙ্ক আর হাহাকার, তখন এই এক মায়ের কান্না যেন সবার হৃদয়কে বিদীর্ণ করে দেয়। দুর্ঘটনায় আহত ও নিহতদের খোঁজে যখন স্বজনরা ছুটছেন হাসপাতাল থেকে মর্গ পর্যন্ত, তখন এই মায়ের আকুতি এক নির্মম বাস্তবতার চিত্র হয়ে উঠে আসে।
দুর্ঘটনার পর বাস্তবতা:
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুর্ঘটনার পরপরই আশেপাশের মানুষ হাসপাতালে ছুটে যান, কেউ রক্ত দিতে, কেউ স্বজনদের খোঁজে। এই মা-ও ছিলেন তাঁদেরই একজন, যিনি হন্তদন্ত হয়ে ছেলের নাম চিৎকার করে ডাকছিলেন। বারবার বলছিলেন,
“ও তো মাত্র সকালে স্কুলে গিয়েছিল, এখন কোথায় আমার ছেলে?”
স্বজনহারা এক সমাজ:
এই একটি চিত্র আমাদের চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়, একটি দুর্ঘটনার আঘাত শুধু শরীরের উপরই নয়, মন ও মানসিক শক্তির উপরও কতটা গভীর হয়। নিহতের সংখ্যা যতই হোক, আহতের অবস্থা যতই গুরুতর হোক, একজন মা তার সন্তানের খোঁজে যখন এভাবে পাগলের মতো ছুটে বেড়ায়—তখন পুরো জাতি যেন থমকে যায়।
প্রশ্ন উঠছে:
দুর্ঘটনার পর তথ্য আদান-প্রদানে এমন বিশৃঙ্খলা কেন?
কেন হাসপাতালে কোনো তথ্য কেন্দ্র ছিল না, যেখান থেকে স্বজনরা তথ্য পেতে পারতেন?
মিডিয়ার উপস্থিতি ছিল, কিন্তু কি সেই মায়ের হাতে ধরা দেওয়া যায় এমন কোনও তালিকা ছিল?
উপসংহার:
এই মায়ের কান্না শুধু তার নিজের সন্তানের জন্য নয়—এটি হয়ে উঠেছে সারা দেশের সেইসব মা-বাবার প্রতীক, যারা আজকের অনিরাপদ শহরে সন্তানের জন্য প্রতিদিন উৎকণ্ঠায় থাকেন।
আজকের এই দুর্ঘটনা আমাদের শুধু বিমানের নিরাপত্তা নিয়ে নয়, বিপর্যয়ের সময় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর মানবিক কাঠামো নিয়েও নতুন করে ভাhig করছে।
সূত্রঃ হোসেন খোকন এর ফেসবুক পোষ্ট থেকে সংগীত।