২০০৭ সালে টি ২০ বিশ্বকাপের প্রথম আসরে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল মহেন্দ্র সিং ধোনির ভারত। চার বছর পর তারা দ্বিতীয় ওয়ানডে বিশ্বকাপ জেতে ধোনির নেতৃত্বেই। সেই দলে থাকা বিরাট কোহলি পরে যখন তিন সংস্করণেই ভারতের অধিনায়ক হন, অনেকেই ভেবেছিলেন সাফল্যে ধোনিকে ছাড়িয়ে যাবেন তিনি। কিন্তু অধিনায়ক হিসাবে এখনও আইসিসির কোনো টুর্নামেন্টে দলকে শিরোপা জেতাতে পারেননি কোহলি।
এ বছর টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে নিউজিল্যান্ডের কাছে হেরেছে কোহলির ভারত। একইভাবে আইপিএলেও কোহলির নেতৃত্বে শিরোপার দেখা পায়নি রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। আইপিএলে আর অধিনায়কত্ব করবেন না কোহলি।
এবারের টি ২০ বিশ্বকাপের পর এই সংস্করণে ভারতের নেতৃত্বও ছেড়ে দেবেন সময়ের সেরা ব্যাটার। তাই টি ২০ ক্রিকেটে অধিনায়ক হিসাবে শিরোপা জেতার এটাই শেষ সুযোগ তার সামনে।
এবারের বিশ্বকাপে শিরোপার অন্যতম দাবিদার ভারত। নেতৃত্ব ছাড়ার সিদ্ধান্ত আগেই জানিয়ে দেওয়ায় ক্যারিয়ারের বড় অপূর্ণতা ঘোচানোর শেষ অভিযানে কোহলি নির্ভার থাকবেন বলে বিশ্বাস ভারতের প্রথম টি ২০ বিশ্বকাপ জয়ের অন্যতম নায়ক ইরফান পাঠানের, ‘কঠিন সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলার পর কোহলি এখন নিজেই খেলা আগের চেয়ে বেশি উপভোগ করতে পারবে। শক্তি, আত্মবিশ্বাস ও অভিজ্ঞতা মিলিয়ে শিরোপা জেতার মতো দল পাচ্ছে কোহলি।’
সাবেক ইংল্যান্ড অধিনায়ক ডেভিড গাওয়ারও অধিনায়ক কোহলির দুঃখ ঘোচার উজ্জ্বল সম্ভাবনা দেখছেন, ‘এবার অধিনায়ক হিসাবে নিজের প্রথম আইসিসি ট্রফি জেতার ভালো সম্ভাবনা আছে বিরাটের। ভারত অন্যতম ফেভারিট। যদিও ফেভারিট তকমায় কিছু যায় আসে না।
যত শক্তিশালী দলই হোক না কেন ভুল সময়ে একটি ভুল করলেই বেজে যেতে পারে বিদায় ঘণ্টা। সে যাই হোক, ভারতের সম্ভাবনা এবার উজ্জ্বল।’
অস্ট্রেলিয়ার সাবেক তারকা পেসার ব্রেট লিও শিরোপার বড় দাবিদার বলছেন কোহলির ভারতকে। কোহলিকে নির্ভার রাখতে তার পরামর্শ, ‘দলের গভীরতার কারণে ইংল্যান্ড সবসময়ই বড় হুমকি। কিন্তু আমার কাছে এক নম্বর ফেভারিট ভারত। আমার মনে হচ্ছে আসরে সবচেয়ে বেশি রান করবে লোকেশ রাহুল। আইপিএলের পর বিশ্বকাপেও সে ভারতের মূল স্তম্ভ হতে পারে। রাহুলকে ঘিরে পরিকল্পনা করলে কোহলির ওপর চাপ কমে যাবে। কোহলি নিজের স্বাভাবিক খেলাটা খেলতে পারবে। অধিনায়ক হিসাবে শেষটা রাঙানোর সম্ভাবনা আরও উজ্জ্বল হবে।’