কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সদর উদ্দিন খানের বিরুদ্ধে জেলা পরিষদের বন্দোবস্তকৃত সম্পত্তিতে অবৈধভাবে দোকান নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে।
২০২৩ সালে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর পূর্বের লিজ বাতিল করে সদর উদ্দিন তার ম্যানেজারের নামে উল্লেখিত সম্পত্তি বন্দোবস্ত নিয়ে দোকান নির্মাণ করেন।
এলাকাবাসী জানান, খোকসা উপজেলা সদরের বাসস্ট্যান্ড থেকে সমসপুর যাওয়ার প্রধান সড়কের বুজরুক মির্জাপুর এলাকায় ৩০ বছরের বন্দোবস্ত বাতিল করে সম্পূর্ণ অবৈধভাবে ২০টি দোকানঘর নির্মাণ করেছেন সদর উদ্দিন খান। দোকানঘর নির্মাণের পর একেকটি দোকানের পজেশন পাঁচ থেকে ছয় লাখ টাকায় বিক্রি করেছেন তিনি।
ভুক্তভোগী রজব আলীর ছেলে বাবুল আক্তার জানান, ৩০ বছর দরে খোকসার বুজরুক মির্জাপুর মৌজার আর এস ৬১৮ ও ৬১৯ নং দাগের ২৭০ ফুট সম্পত্তি তার বাবার নামে কুষ্টিয়া জেলা পরিষদ থেকে বন্দোবস্ত নেওয়া ছিল। জেলা পরিষদের বন্দোবস্তের বাৎসরিক খাজনা নিয়মিত পরিশোধ করলেও কোনো নোটিস ছাড়া ২০২৩ সালে তৎকালীন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সদর উদ্দিন খান তাদের বন্দোবস্তকৃত সম্পত্তিতে বালু ভরাট কাজ করেন।
এ সময় তারা জেলা পরিষদে যোগাযোগ করলে জানতে পারেন, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সদর উদ্দিন তার ম্যানেজার গনেশ চন্দ্রের নামে উক্ত ২৭০ ফুট সম্পত্তির মধ্যে ১৯৬ ফুট সম্পত্তি বন্দোবস্ত নিয়েছেন।
বিষয়টি নিয়ে তারা সদর উদ্দিন খানের কাছে গেলে হেলথ ইনস্টিটিউটে তাদের পরিবারের একজনকে চাকরি ও উল্লেখিত সম্পত্তিতে নির্মিত মার্কেটের সম্মুখভাগে দুইটি দোকান দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন।
তবে পরবর্তীতে সদর উদ্দিন তাদের সঙ্গে দেওয়া কোনো কথাই রাখেননি। বরং বিষয়গুলো নিয়ে কথা বলতে গেলে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে তাড়িয়ে দেন।
আওয়ামী লীগ সরকারের মদদপুষ্ট সদর উদ্দিন খান অত্যন্ত প্রভাবশালী ও সন্ত্রাসী প্রকৃতির হওয়ায় কোথাও অভিযোগ দেওয়ার সাহস পাননি তারা। আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর থেকে সদর উদ্দিন খান গা ঢাকা দিয়েছেন। তাদের বন্দোবস্তকৃত সম্পত্তি সদর উদ্দিন খানের কাছ থেকে ফিরে পাওয়ার জন্য তিনি ইতোমধ্যে জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী বরাবর দরখাস্ত দিয়েছেন বলে জানান।
বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে কুষ্টিয়া জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জয়নাল আবেদীনের মোবাইল ফোনে একাধিকবার ফোন দেওয়া হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
সূত্রঃ রাইজিং বিডি