রাজনীতি এখন ঠগি, ব্যক্তিত্বহীন, আর চোর-ছ্যাঁচোরদের অভয়ারণ্যে পরিনত হয়েছে – এমন কথা আমি অন্তত কখনই বিশ্বাস করতাম না, যদি না বাংলাদেশের রাজনীতির মঞ্চে গম কাদের, ক্লাসলেস নূরু, ট্যাঙ্ক ড্যান্সার ইনু কিংবা দেউলিয়া বামপন্থী মেননের মতো লেজকাটা শেয়ালদের বিরক্তিকর চিৎকারে আামাদের গণতন্ত্র কলুষিত না হতো। অথচ স্বাধীনতার ৫২তম বছরে এসে ক্ষোভে-দুঃখে গম, ভূষি তার লেজকাটাদের সাকার্স দেখছি প্রতিনিয়ত।
৭ জানুয়ারী ভোটাভুটি। একাত্তরে-এর পরাজিত শক্তি, আমেরিকানরা তাদের স্বভাবজাত যৌনকর্মী দালালদের নিয়ে যথেষ্ট লাফিয়েছে। বিএনপি জামাতকে কাছে টেনে নিয়ে বলেছে-‘ আ গলে লাগ যা’। লোকজনেরা বলে বাঙ্গালীর নাকি গোল্ডফিস মেমোরী। কিন্তু আমার মতো ‘ইতর’ গোছের কিছু লোক আছে, যাদের কাছে ৭১-এর স্মৃতি ভোলার মতো নয়। মার্কিনীরা আমাদের স্বাধীনতা চায়নি। আরবরাও না। অথচ আমরা সামান্য একটা ভিসার আশায় অথবা আরবদের ‘মুসলিম উম্মাহ’ ভেবে ক্রমাগত জজবা দেখিয়ে যাচ্ছি।
লন্ডনে ঘাপটি মেরে থাকা দন্ডপ্রাপ্ত সন্ত্রাসী কিংবা তার দলের ফখরুল-রিজভীদের কাছে আমেরিকানরা এখন ‘সেকেন্ড গড’ হয়ে গেছে। বিএনপি ভাবে বয়সের ভারে নুঁজো আউটগোয়িং কিংবা মেয়াদউত্তীর্ণ প্রেসিডেন্ট বাইডেন বুঝি নিজে এসে হামিদ কারজাই’র মতো ওদের ক্ষমতায় বসিয়ে দেবে। ওরা একবারের জন্যও ভাবেনা নষ্ট বাইডেনের দুষ্টু খপ্পড়ে পড়লে বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব “হাওয়া হাওয়া”।
বদমাশ তারেকের কাছে অবশ্য ওই ‘হাওয়া’ শব্দের একটা “ডিভাইন ফিলিংস” আছে। চোখ বন্ধ করে হাওয়া ভবনের কথা ভাবলেই তারেকের চোখে ভেসে ওঠে মমতা কুলকার্নি, মুম্বাই গার্লস কিংবা গিয়াসউদ্দিন মামুনের সাথে এক বিছানার লুটোপুটি। এমন এক বজ্জাত লোক যখন একটা দলের প্রধান হয় তখন বুঝতেই হবে – বিএনপি নামক দলটি এখন অস্তিত্ব সংকটের শেষপ্রান্তে।
বাস্তবতা এমনটাই। কিন্তু দুঃখজনক হলো বিএনপির আতঙ্কজনক অতীত আর এদের দুর্গন্ধযুক্ত চেহারাগুলো বিশ্ববাসীর কাছে জোড়ালোভাবে তুলে ধরতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার লোকজনেরা এরই মাঝে দশ-এ শুন্য পেয়ে এখনও নির্লজ্জ অযোগ্যের মতো তাঁকে ঘিরে রেখেই ভাবছে ‘অন্ধ হলেই বুঝি প্রলয় বন্ধ হবে’। কিন্তু আদতে আধুনিক তথ্য-প্রযুক্তির জামানায় চুপ কিংবা বোবা থাকলে সংকট ক্রমশ ঘনীভূত হয়।
বাংলাদেশের বিরুদ্ধে বিএনপি জামাতের ষড়যন্ত্র শানিত হচ্ছে-হতেই থাকবে। এবিষয়ে প্রধানমন্ত্রী নিজে যদি তাঁর চারপাশের অযোগ্য-অর্থবগুলোকে লাথি মেরে বঙ্গোপসাগরে নিক্ষেপ না করেন তাহলে আখেরে আমাদের সবাইকে পস্তাতে হবে।
লেখকঃ সালাহ্ উদ্দিন শোয়েব চৌধুরী, আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ও পুরস্কারপ্রাপ্ত সাংবাদিক, গবেষক, লেখক, কাউন্টার টেরোরিজম বিশেষজ্ঞ ও ইংরেজী পত্রিকা ব্লিটজ সম্পাদক ও প্রকাশক