শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:১৮ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
নন্দিত গীতিকবি মিলন খানের আজ শুভ জন্মদিন ভালোবাসি তোমায় সিনেমার ক্যামেরা ক্লোজ চৌদ্দগ্রাম প্রেসক্লাবের নতুন কমিটি গঠন তৌহিদ সভাপতি, সম্পাদক সোহাগ, সাংগঠনিক ফারুক গানের হাট অডিও স্টুডিও এর শুভ উদ্বোধন হলো চলচ্চিত্রে অনুদানের অজুহাতে রাষ্ট্রীয় অর্থের হরিলুট: সালাহ্ উদ্দিন শোয়েব চৌধুরী গান বাজনা সম্পর্কে কিছু কথা প্রসঙ্গ শুভ্র দেবের একুশে পদকঃ ফরিদুল আলম ফরিদ শেখ কামাল হোসেন এর কথা ও সুরে, চম্পা বণিক এর গাওয়া ‘একুশ মানে’ শিরোনামের গানটি আজ রিলিজ হলো নোয়াখালীতে প্রসূতিসহ নবজাতকের মৃত্যুর ঘটনায় সাংবাদিকের মামলা, তদন্তে পিবিআই ‘দম’ সিনেমা নিয়ে ফিরছেন পরিচালক রেদওয়ান রনি

চলচ্চিত্রে অনুদানের অজুহাতে রাষ্ট্রীয় অর্থের হরিলুট: সালাহ্ উদ্দিন শোয়েব চৌধুরী

সালাহ্ উদ্দিন শোয়েব চৌধুরী
  • প্রকাশ সময়ঃ বুধবার, ১৩ মার্চ, ২০২৪
  • ২৮ বার পড়া হয়েছে
নির্বাচনের পর নতুন সরকার, নতুন মন্ত্রী। আবারও চলচ্চিত্র নির্মাণে অনুদানের প্রস্তুতি। বড় অংকের অর্থ। গত বছর যারা অনুদান পেয়েছেন ওদের নির্মীয়মান চলচ্চিত্রের খবর কি? আমার জানা নেই। কাদেরকে অনুদান দেয়া হলো? ওনারা কি আদতে চলচ্চিত্র শিল্পের নির্মাতা কিংবা প্রযোজক? নাকি ভুঁইফোড় প্রতিষ্ঠান গড়ে অনুদানের কোটিকোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার অসুস্থ প্রতিযোগিতা?
প্রথমেই যে বিষয়টা আমার কাছে পরিষ্কার নয় সেটা হলো প্রতি বছর সরকার কোটিকোটি টাকা অনুদান দেয় কোন্ উদ্দেশ্যে? বিশেষ কিছু মানুষের পকেট কিংবা ভ্যানিটি ব্যাগ ভারী করতে নাকি চলচ্চিত্র শিল্পের উন্নয়নের লক্ষ্যে? অনুদানের টাকায় যারা সিনেমা নির্মাণ করেন ওনাদের উদ্দেশ্য কি চলচ্চিত্র শিল্পের উন্নয়ন? অনুদান তো প্রতি বছরই দেয়া হচ্ছে। কিন্তু আমাদের চলচ্চিত্র শিল্পে এই বিরাট অংকের অর্থ ব্যয়ের ফলে কি আদতেও প্রাণ সঞ্চারিত হয়েছে বা হচ্ছে?
একদম রাখঢাক না রেখেই বলবো, যাদেরকে অনুদান দেয়া হয় তারা কোন্ যোগ্যতায় এটা পান। হ্যাঁ, মাত্র ২-৩ জন এক্ষেত্রে ব্যতিক্রম। কিন্তু বাকি সবাই তো অনুদান পান তদবিরের জোরে কিংবা নিজেদের রাজনৈতিক পদবী খাটিয়ে। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ও এক্ষেত্রে অনেকটাই যেনো ভাবলেশহীন। সরকারি টাকা খরচে ওনাদের সত্যিকার অর্থেই কোনো বাছবিচার নেই। মানে, প্রাচীন ওই প্রবাদের মতোই – সরকারের মাল, দরিয়ায় ঢাল। প্রতি বছর অনুদানের নামে এক বিশাল হরিলুট।
সাংবাদিকতার পেশার কারণে এবং বিনোদন জগতের সাথে সম্পর্কের কারণে আমি জানি, প্রতি বছরই যোগ্য কিছু নির্মাতা ভালো গল্প, যেগুলো বাণিজ্যিকভাবেও সফল হওয়ার মতো, এমন প্রস্তাবনা জমা দিয়ে অনুদান পান না। কারণ ওনাদের খুঁটির জোর নেই কিংবা রাজনৈতিক পরিচয় খাটানোর মতো অসুস্থ মানসিকতা নেই। একারণেই ওনাদের প্রস্তাবগুলো আমলেই নেয়া হয়না।
আমি চ্যালেঞ্জ করেই বলতে পারি, এ বছরও বহু অযোগ্য এবং বিতর্কিত লোকেরাই অনুদানের কোটিকোটি টাকার ভাগ পাবেন। ঠিক আগের মতোই। একই অসুস্থ ধারার আরেক পুনরাবৃত্তি। আবারও সরকারি টাকার হরিলুট। রাষ্ট্রীয় সম্পদের অপচয়। এর শেষ কোথায় আমরা কেউই জানিনা।

দয়া করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর
April 2024
S M T W T F S
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
293031