৩২ দলের বিশ্বকাপের বদলে ২০২৬ সালের বিশ্বকাপ হতে যাচ্ছে ৪৮ দলের। মানে অতিরিক্ত ১৬টি দল বিশ্বকাপ খেলার সুযোগ পাবে। সেখানে যেমন আছে সম্ভাবনা, তেমন আছে শঙ্কাও। অনেকেই মনে করছে, দলের আধিক্যে রঙ হারাবে গ্রেটেস্ট শোন অন আর্থ।
তবে ফিফা বেকায়দায় পড়েছে গ্রুপিং নিয়ে। মানে ৪৮ দল নিয়ে ১২ টি মানে প্রত্যেক গ্রুপে দল সংখ্যা হবে ৪। নাকি ১৬ গ্রুপ করে প্রত্যেকটিতে দল সংখ্যা হবে ৩। ১৬ গ্রপ হলে নক আউটে যাবে ৩২ দল। আর ১২ দল হলে ২৪। ম্যাচ সংখ্যা কমাতে অনেকেই ১২টি গ্রুপ করার পক্ষে।
যে হিসেবেই যাক কাতার বিশ্বকাপের চেয়ে ৪০টি বেশি ম্যাচ আয়োজন করতে হবে ফিফাকে। সেই হিসেবে বিশ্বকাপের দিনের সংখ্যাও বাড়বে।
আবার এই পদ্ধতিতে রক্ষণাত্মক ফুটবলের একটা চিন্তা সবারই থেকে যাচ্ছে, যেই চিন্তায় আছে খোদ ফিফাও। সেজন্য তারা গ্রুপ পর্বের ম্যাচেও পেনাল্টি শুট আউটের মাধ্যমে টাইব্রেকারের কথাও ভাবছে।
তবে সেসব করতে গিয়ে বিশ্বকাপ তার মূল আকর্ষণ হারিয়ে বসে কি না সেটা নিয়েই দ্বিধান্বিত সবাই। এই বিশ্বকাপের কথাই ধরুন -আর্জেন্টিনার বিপক্ষে হারের পরেও অধীর আগ্রহে অন্য ম্যাচের জন্য অপেক্ষা করছিলেন পোলিশ সমর্থকরা। মেক্সিকো-সৌদি আরব ম্যাচে আর এক-দুই গোলেই ওলটপালট হয়ে যেতে পারত পোল্যান্ড বা মেক্সিকোর ভাগ্য। সমর্থকদের উৎকণ্ঠাই বলুন, বা শেষ রাউন্ডের হাড্ডাহাড্ডি লড়াই, অন্য ম্যাচের দিকেও সার্বক্ষণিক মনোযোগ- এর সবটাই নিমেষে ধুলোয় মিশিয়ে যেতে পারে ফিফার এই সিদ্ধান্তে।
তবে আশার বিষয় একটাই, ২০২৬ বিশ্বকাপের আগে ফিফা সব দিক বিবেচনার জন্য পাচ্ছে অঢেল সময়।