শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:১২ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
নন্দিত গীতিকবি মিলন খানের আজ শুভ জন্মদিন ভালোবাসি তোমায় সিনেমার ক্যামেরা ক্লোজ চৌদ্দগ্রাম প্রেসক্লাবের নতুন কমিটি গঠন তৌহিদ সভাপতি, সম্পাদক সোহাগ, সাংগঠনিক ফারুক গানের হাট অডিও স্টুডিও এর শুভ উদ্বোধন হলো চলচ্চিত্রে অনুদানের অজুহাতে রাষ্ট্রীয় অর্থের হরিলুট: সালাহ্ উদ্দিন শোয়েব চৌধুরী গান বাজনা সম্পর্কে কিছু কথা প্রসঙ্গ শুভ্র দেবের একুশে পদকঃ ফরিদুল আলম ফরিদ শেখ কামাল হোসেন এর কথা ও সুরে, চম্পা বণিক এর গাওয়া ‘একুশ মানে’ শিরোনামের গানটি আজ রিলিজ হলো নোয়াখালীতে প্রসূতিসহ নবজাতকের মৃত্যুর ঘটনায় সাংবাদিকের মামলা, তদন্তে পিবিআই ‘দম’ সিনেমা নিয়ে ফিরছেন পরিচালক রেদওয়ান রনি

ঢাকা-১১ আসনে নৌকার মাঝি বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ মো. ওয়াকিল উদ্দিন

হাসান মাহমুদ
  • প্রকাশ সময়ঃ রবিবার, ২৬ নভেম্বর, ২০২৩
  • ৫৬ বার পড়া হয়েছে
ঢাকা-১১ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ মো. ওয়াকিল উদ্দিন।
রোববার (২৬ নভেম্বর) আওয়ামী লীগের বঙ্গবন্ধু এ্যাভিনিউস্থ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য দলীয় মনোনীত প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশ অনুষ্ঠানে তার নাম ঘোষণা করেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
ঢাকা-১১ আসনটি রাজধানীর পুরো বাড্ডা থানা ও ভাটারা থানার বেরাইদ, ভাটারা ও সাঁতারকুল ইউনিয়ন এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ২১, ২২ ও ২৩ নং ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত।
গণমানুষের নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. ওয়াকিল উদ্দিন রাজনীতির পাশাপাশি একজন সফল ব্যবসায়ী। তিনি বারিধারা কর্পোরেশন লিমিটেড ও বারিধারা অ্যাগ্রো অ্যান্ড ফুড প্রসেসিং লিমিটেড-এর চেয়ারম্যান এবং মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক লিমিটেডের সাবেক চেয়ারম্যান। এছাড়া দেশের সেরা আবাসন কোম্পানি স্বদেশ প্রোপার্টিস লিঃ -এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক।
ওয়াকিল উদ্দিনের বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবন : বঙ্গবন্ধুর আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে ছাত্রলীগের রাজনীতির মধ্য দিয়ে রাজনৈতিক জীবন শুরু হয় তার। ১৯৬৯ সালে এসএসসি পাশ করার পর তেজগাঁও কলেজে অধ্যয়নরত অবস্থায় তেজগাঁও কলেজ শাখা ছাত্রলীগের কার্যকরী কমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৬৯-এর গণআন্দোলনে সরাসরি অংশগ্রহণ, ১৯৭০ সালের জাতীয় নির্বাচনে তৎকালীন ঢাকা জেলার ডেমরা-তেজগাঁও আসনে পাকিস্তান জাতীয় পরিষদে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রার্থী হলে তার নির্বাচনী জনসংযোগে অংশ নেন এবং বঙ্গবন্ধুকে ভোট দেন। ১৯৭১ সালে ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর আহ্বানে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জনসভায় গুলশান থেকে বিশাল লাঠি মিছিলসহ জনসভায় যোগদান করেন ওয়াকিল উদ্দিন। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের নির্দেশে এবং পরিচালনায় মুক্তিযুদ্ধের প্রতি সর্বাত্মক সমর্থন দিয়ে বাংলাদেশকে স্বাধীন করার জন্য মুক্তিযুদ্ধে সরাসরি অংশগ্রহণের লক্ষ্যে ভারতে গিয়ে প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করে সরাসরি মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন এবং যুদ্ধকালীন সময়ে খণ্ডকালীন কমান্ডারের দায়িত্ব পালন করেন । ১৯৭৩-৭৪ সালে তিতুমীর কলেজে অধ্যয়নরত অবস্থায় কলেজ ছাত্রলীগের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত থেকে সকল দলীয় কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করেন।
স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে ১৯৭৪ সালে তৎকালীন বৃহত্তর গুলশান থানা ছাত্রলীগের সভাপতি নির্বাচিত হন। ১৯৭৫ সালে ঢাকা মহানগর যুবলীগ বৃহত্তর গুলশান থানার সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু সপরিবারে নিহত হলে ঢাকা শহরের বিভিন্ন এলাকায় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের জান্তা সরকার ধরপাকড় শুরু করে। সে সময় তৎকালীন সামরিক জান্তা সরকার তাকে গ্রেপ্তারের জন্য তার বাড়িতে একাধিকবার অভিযান চালায়, না পেয়ে বাড়ি-ঘর ভাংচুর করে। বাড়ি থেকে পালিয়ে গিয়ে বিভিন্ন স্থানে আত্মগোপন করে প্রায় তিন বছর মানবেতর জীবনযাপন করেন। ১৯৭৯ সালের জাতীয় নির্বাচনের আগে পুনরায় এলাকায় এসে নৌকা প্রতীকের পক্ষে নির্বাচনী কার্যক্রমে অংশ নেন। ১৯৮১ সালের ১৭ মে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বদেশে প্রত্যাবর্তন করলে ছাত্রলীগ-যুবলীগ-আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন নেতাকর্মী নিয়ে বিমানবন্দর সড়কে বনানী-কাকলী স্পটে ঝড়-বৃষ্টি উপেক্ষা করে রাস্তার দু-ধারে দাঁড়িয়ে তাকে অভ্যর্থনা জানান ।
১৯৮৮ সালে স্থানীয় সরকারের অধীন ঢাকা মিউনিসিপ্যাল নির্বাচনে প্রার্থী হয়ে সরাসরি জনগণের ভোটে নির্বাচিত কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯১ সালে নির্বাচনে বিএনপি সরকার গঠন করার পর খালেদা জিয়ার ছেড়ে দেয়া আসন ঢাকা-৫ (তৎকালীন গুলশান-ক্যান্টনমেন্ট)-এর উপনির্বচানে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুনের পক্ষে নির্বাচনী কার্যক্রমে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন। ১৯৯৪ সালে তৎকালীন বৃহত্তর ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত ১৮নং ওয়ার্ডের কমিশনার পদে প্রার্থী হয়ে বিপুল ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী হন। ৯৩-৯৬ সালে বিএনপি-জামায়াত সরকারের অপশাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে রোষানলে পড়ে প্রায় ২৫টি রাজনৈতিক মামলার আসামি হন। ৯৩-০৩ সাল পর্যন্ত দীর্ঘ সময় বৃহত্তর গুলশান থানা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি হিসেবে সক্রিয়ভাবে দায়িত্ব পালন করেন। ৯৩-৯৬ সাল পর্যন্ত তৎকালীন সরকারবিরোধী আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন। ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার পুনরায় ক্ষমতায় এলে ২০০২-২০০৬ সাল পর্যন্ত তাদের অপশাসনের বিরুদ্ধে রাজপথে সক্রিয় থাকেন। ২০০৪-২০১৬ সাল পর্যন্ত বৃহত্তর গুলশান থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে অত্যন্ত নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেন।

দয়া করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর
April 2024
S M T W T F S
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
293031