কাঁদলেন এবং কাঁদিয়ে গেছেন ফকিরা ভাই……. বললেন অভিনেতা, মডেল ও চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির বর্তমান কার্যকরি কমিটির অন্যতম নেতা সনি রহমান।
সনি রহমান তাঁর ফেসবুক একাউন্ট থেকে পোস্ট করে বলেন, দয়া করে কেউ মিথ্যা তথ্য প্রচার করে একজন শিল্পীকে ছোট করবেন না….।
লেখাটা পড়ে জেনে নিন কেনো কি কারনে বিএফডিসিতে নিয়ে আসা হয়েছিলো ফকিরা ভাইকে….?
একসময় বড় পর্দায় খলচরিত্রে নিয়মিত মুখ ছিলেন ইসমাইল হোসেন; যাঁকে সবাই ফকিরা নামে চেনেন। ৭০০টির বেশি সিনেমায় অভিনয় করা এই অভিনেতা এখন শয্যাশায়ী। তিনবার স্ট্রোক করে ৬৫ বছর বয়সী এই অভিনেতা এখন কথা বলতে পারেন না।
কিছুদিন আগে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের জেনেভা ক্যাম্পে ফকিরার বাসায় গিয়েছিলাম আমি। সে সময় দীর্ঘদিনের কর্মস্থল বিএফডিসিতে আসার ইচ্ছার কথা জানান ফকিরা ভাই ও তার পরিবার। সেই ইচ্ছে পূরণ করতেই পরিবারের সহায়তায় ফকিরা ভাইকে এফডিসিতে নিয়ে আসি আমি।
এফডিসিতে এসে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন ফকিরা ভাই। মুখে কথা বলতে না পারলেও তাঁর চোখেমুখে ফুটে উঠছিল সেই অনুভূতি। চোখ থেকে ঝরছিল পানি। এ সময় ফকিরাকে এফডিসির বিভিন্ন জায়গা ঘুরিয়ে দেখানোর চেষ্টা করি আমি।
ক’দিন আগে গুজব খবর ছড়ায়, ফকিরার চিকিৎসার জন্য সহায়তার প্রয়োজন। ‘সম্প্রতি খবর ছড়িয়েছে, ফকিরা ভাইয়ের সাহায্য প্রয়োজন। এ রকম তথ্য দিয়ে চলচ্চিত্রের শিল্পীদের ব্যঙ্গ করা হচ্ছে। কেবল মাত্র ফকিরা ভাই নয় এরকম আরো অনেক শিল্পীদের নিয়ে মিথ্যা প্রচার করা হয় মাঝেমধ্যেই। তবে তাঁর পরিবারের পক্ষ থেকে কখনো কোথাও এমন কোনো অনুরোধ করা হয়নি। বলা হয়নি, টাকা দিয়ে সহায়তা করুন। পরিবারের পক্ষ থেকে সবার কাছে দোয়া চাওয়া হয়েছে।’ সুতরাং আমি সকলকে অনুরোধ করবো কেউ মিথ্যা তথ্য প্রচার করবেন না এবং মিথ্যা তথ্য প্রচার করে আমাদের শিল্পীদের সম্মান নষ্ট করবেন না প্লিজ।
আবারও ফকিরা ভাই সহ আমাদের যেই সকল শিল্পীদের বয়স হয়েছে কিংবা শারীরিক অসুস্থতায় ভুগছেন সকলের জন্য আপনাদের কাছে দোয়া প্রার্থনা করছি।
সূত্রঃ অভিনেতা মডেল সনি রহমান এর ফেসবুক স্ট্যাটাস থেকে সংগৃহীত।