রাজবাড়ীতে সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিনিয়ত বেড়েই চলেছে, যার মূল হোতা ট্রাক ও চালক।
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলায় ট্রাকচাপায় মোটরসাইকেলের ২ আরোহী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও এক আরোহী। শনিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতদের নাম-পরিচয় এখনো জানা যায়নি। লাশ উদ্ধার করে গোয়ালন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়েছে। আহত ব্যক্তিকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়।
আহলাদীপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ( ওসি) তরিকুল ইসলাম জানান, রাতে মোটরসাইকেলে ৩ আরোহী গোয়ালন্দ থেকে দৌলতদিয়া যাচ্ছিলেন। আর ট্রাকটি দৌলতদিয়া থেকে গোয়ালন্দের দিকে যাচ্ছিল। মকবুলের দোকান এলাকায় পৌঁছালে ট্রাকের নিচে পড়েন মোটরসাইকেলের আরোহীরা।
এতে ঘটনাস্থলেই দুজন নিহত হন। দুর্ঘটনার পর ট্রাকটিকে জব্দ করা হয়েছে। চালককে ধরতে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ। নিহতদের লাশ সুরতহাল রিপোর্ট শেষে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হবে বলেও জানান তিনি।
এদিকে গত ২৩ জুন পাংশা কলেজ মোড়ের কাছে মটর সাইকেল যোগে মাছাপাড়া নিজ বাড়ি যাওয়ার সময় ট্রাকের সাথে ধাক্কা খেয়ে মারাত্মকভাবে আহত হন আমার ফুপাতো (ছোট) ভাই, রাজবাড়ী জেলা জজ কোর্ট ও জেলা বার এসোসিয়েশন এর সদস্য এ্যাডভোকেট মাসুদুল আলম মাসুদ তার ছোট্ট ছেলে সহ। আহত মাসুদ ও তার ছেলেকে তৎক্ষণাৎ ফরিদপুর মেডিকেলে নেয়া হয়। অবস্থা খারাপ দেখে ফরিদপুর মেডিকেলের কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠিয়ে দেন। এখন এ্যাডভোকেট মাসুদুল আলম ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল (ওয়ার্ড নং-২০০) এ চিকিৎসাধীন আছে।
সড়ক দুর্ঘটনায় আহত এ্যাডভোকেট মাসুদুল আলম
গত মাস দুয়েক আগে আমার অত্যন্ত কাছের বন্ধু, যার সাথে দীর্ঘ ১৩/১৪ বছর লেখাপড়া করেছি, গ্রামীণ ব্যাংক এর একটি শাখার ম্যানেজার মোহাম্মদ ফিরোজ খান ও তার ছেলে সহ রাজবাড়ীর কাছে তার মোটর সাইকেলকে মেরে দিয়ে ঘাতক ট্রাক পালিয়ে যায়। আহত ফিরোজ ও তার ছেলেসহ প্রথমে ফরিদপুর, পরবর্তীতে ঢাকায় একটি বেসরকারী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বেশ কয়েকদিন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে অবশেষে বন্ধু আমাদের সকলকে ফাঁকি দিয়ে পরপারে চলে যায়। ফিরোজের ছেলে এ পর্যায়ে বেঁচে ফিরলেও মাথায় মারাত্মক আঘাত পাওয়ায় মানসিক ভারসাম্য হ্রাস পেয়েছে বলে জানা যায়।
এরকম আরো অনেক অনাকাঙ্ক্ষিত সড়ক দুর্ঘটনা দৌলতদিয়া টু কুষ্টিয়া, দৌলতদিয়া টু ফরিদপুর হাইওয়েতে প্রতিনিয়ত ঘটেই চলেছে।
এ সকল সড়ক দুর্ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ও এলাকাবাসীরা জানান, এর মূল হোতা বেপরোয়া ট্রাক। অদক্ষ, ভারসাম্যহীন ট্রাক চালকরা এসকল দুর্ঘটনা ঘটিয়ে চলেছে। ট্রাক চালকরা বেপরোয়াভাবে নিয়ন্ত্রণহীন ট্রাক চালিয়ে যাচ্ছে দিন-রাত ২৪ঘন্টা। দুর্ঘটনা ঘটানোর পর ট্রাক চালকরা সুকৌশলে পালিয়ে যাচ্ছে। হাতে নাতে ধরতে না পারায় তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়া যাচ্ছে না বলে প্রাসাশন জানায়।
এর প্রতিকার কি?