অঞ্জু ঘোষ একজন বাংলাদেশী চলচ্চিত্র অভিনেত্রী। তিনি ভারত ও বাংলাদেশ উভয় দেশের মোট ৬টি ভাষার ওপর ৩০০টিরও বেশি চলচিত্রে অভিনয় করেছেন। তিনি বেদের মেয়ে জোসনা চলচ্চিত্রে তার অভিনয়ের জন্য পরিচিত। তার আসল নাম অঞ্জলি ঘোষ।
চলচ্চিত্র জীবনঃ
বাংলাদেশের স্বাধীনতার আগে অঞ্জু ঘোষ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ভোলানাথ অপেরার হয়ে যাত্রায় নৃত্য পরিবেশন করতেন ও গানও গাইতেন।[৩] ১৯৮২ সালে এফ, কবীর চৌধুরী পরিচালিত ‘সওদাগর’ সিনেমার মাধ্যমে তার চলচ্চিত্রে অভিষেক ঘটে। এই ছবিটি ব্যবসায়িকভাবে সফল ছিল। তিনি বাংলার নীলো নামে পরিচিত ছিলেন। ১৯৮৬ সালে তার ক্যারিয়ার বিপর্যয়ের মুখে পড়লেও তিনি ফিরে আসেন ভালোভাবে। ১৯৮৭ সালে অঞ্জু সর্বাধিক ১৪টি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। ১৯৮৯ সালে তার অভিনীত ‘বেদের মেয়ে জোছনা’ অবিশ্বাস্য রকমের ব্যবসা করে এবং সৃষ্টি করে নতুন রেকর্ড। চলচ্চিত্রটির মাধ্যমে তিনি ব্যাপক পরিচিতি লাভ করেন। ১৯৯০ সালে তার গাওয়া ১২টি গান নিয়ে ‘মালিক ছাড়া চিঠি’ নামের একটি অ্যালবাম প্রকাশিত হয়।[৪]
তিনি ১৯৯৬ সালে বাংলাদেশ ছেড়ে চলে যান এবং কলকাতার চলচ্চিত্রে অভিনয় করতে থাকেন।[৫] ২০১৮ সালে, তিনি সাইদুর রহমান সাইদ পরিচালিত একটি বাংলাদেশী চলচ্চিত্র, মধুর ক্যান্টিনে অভিনয় করেন।[৬]
চলচ্চিত্র তালিকা ও চরিত্রঃ
নাগরিকত্ব বিতর্কঃ
২০১৯ সালের ৫ জুন তিনি ভারতের রাজনৈতিক দল বিজেপিতে যোগ দেন।[৮] তারপরে তার নাগরিকত্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠে। পরে বিজেপি দলের তরফ থেকে দাবি করা হয় তিনি ভারতের নাগরিক, তার কাছে ভারতের পাসপোর্ট আছে।[৯] পশ্চিমবঙ্গের বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ ২০০৩ সালে কলকাতা পৌরসংস্থা কর্তৃক জারি করা তার জন্ম সার্টিফিকেট প্রকাশ করেন।[১০][১১] শংসাপত্র অনুসারে অঞ্জু ঘোষ ১৭ সেপ্টেম্বর ১৯৬৬ সালে কলকাতার ইস্ট এন্ড নার্সিং হোমে জন্মগ্রহণ করেন; তার বাবার নাম সুধন্য ঘোষ ও মায়ের নাম বীণাপানি ঘোষ।[১০] অন্যদিকে ২০১৮ সালে একুশে টেলিভিশনকে দেয়া এক সাক্ষাৎকার তিনি জানান যে তিনি ১৭ সেপ্টেম্বর ১৯৫৬ সালে ফরিদপুরের ভাঙ্গায় জন্মগ্রহণ করেন ও মুক্তিযুদ্ধ শুরু হওয়ার আগে তিনি এবং তার পরিবার চট্টগ্রামে চলে আসেন। সেখানকার কৃষ্ণকুমারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন।[১]