এ জে মিন্টু। দুঃখজনক হলেও সত্য যে বাংলাদেশের “মাস্টার মেকার” হিসেবে খ্যাত এই পরিচালক সম্পর্কে গুগল, উইকিপিডিয়া, এমনকি বাংলাপিডিয়ায় কোন তথ্য আপলোড করা নেই। আমার নিজের এবং প্রথিতযশা সব সাংবাদিকদের প্রকাশিত অনেক প্রতিবেদন গুগলে খুঁজে পাওয়া গেলেও উনাকে নিয়ে লেখা কোন প্রতিবেদন পাওয়া যায়না। যা কিছু সাক্ষাৎকারের ছোট ছোট “নোট” রয়ে গেছে আমার ডায়রিতে, যার কোন মুল্য নেই। চারবার জাতীয় পুরস্কার সহ অনেক পুরস্কার ও সম্মাননা প্রাপ্ত এই গুনী মানুষটির সঙ্গে পরিচয় আমার কলেজ বেলা থেকেই, যখন আমি সরাসরি চলচ্চিত্র সংসদ আন্দোলনে সম্পৃক্ত। মৃদুভাষী, সজ্জন, অমায়িক এই মানুষটির ‘আপনি’ সম্বোধন সেই সময় থেকেই আমাকে বিব্রত করে।
চলচ্চিত্র পরিচালকদের সাধারণত ‘ক্যাপ্টেন অব দ্য শীপ’ বলা হলেও, বাংলাদেশের প্রধান সারির শিল্পী ও কুশলীরা তাঁকে সম্বোধন করতেন ‘মেজর’ বলে। এতেই বুঝে নেয়া যায়, বাংলাদেশের চলচ্চিত্রে এই পরিচালকের অবস্থান কতটা উচ্চতর পর্যায়ের। অথচ, এখনকার প্রায় ‘চেনা চেনা’ মানুষদের বিবরণ, তাদের নিয়ে লেখা পত্রিকার প্রতিবেদন গুগলে আপলোড হয়ে থাকলেও এ জে মিন্টু ভাইয়ের নেই। শুধু নাম, জন্ম পাবনা আর চারটি ছবির নাম উল্লেখিত রয়েছে। বাংলাদেশ থেকে কারা এই তথ্য আপলোড করার দায়িত্বে রয়েছেন জানিনা, তবে আমি মনে করি বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতি’র একটা নিজস্ব ওয়েব সাইট থাকা প্রয়োজন, যাতে সকল পরিচালকের বিস্তারিত (যতদুর সম্ভব) তথ্য ও ছবি থাকবে।
মিন্টু ভাইয়ের সংগে আমার দীর্ঘ সম্পর্ক, উনার সংগে আউটডোর শুটিংয়ে, গভীর সমুদ্রে যাওয়া বা ঘুটঘুটে অন্ধকারে শেয়াল ডাকা সৈকতে দুজনের অসহায় হয়ে হাঁটার অভিজ্ঞতাগুলো লিখতে গেলে অনেক সময় এবং ‘স্পেস’ প্রয়োজন, যা এখানে নেই। আজ ১৬ জুলাই বাংলাদেশের এই প্রথিতযশা পরিচালক এবং প্রযোজকের জন্মদিন। শুভেচ্ছা এ জে মিন্টু ভাই। ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন জীবনের প্রতিটি বছর।
ছবি: এ জে মিন্টু। তাঁকে নিয়ে “চিত্রালী”তে প্রকাশিত বিশেষ প্রতিবেদনের স্ক্রিনশট। বাম থেকে ফখরুল হাসান বৈরাগী, শমসের আহমেদ, ছটকু আহমেদ, হাবিবুর রহমান খান, এ জে মিন্টু ও তমিজ উদ্দিন রিজভী। এ জে মিন্টু পরিচালিত ‘প্রথম প্রেম’ ছবির মহরতে শাবানা, আলমগীর, ওমর সানি, মৌসুমী, ছটকু আহমেদ ও অন্যান্য শিল্পী কুশলীর সঙ্গে সবার ডানে এ জে মিন্টু। দেলোয়ার জাহান ঝন্টু, কাজী হায়াত, মৌসুমী ও ওমর সানির সঙ্গে এক অনুষ্ঠানে। এ জে মিন্টু পরিচালিত একটি ছবির দৃশ্য। এডিটিং এ। সত্য মিথ্যা ছবির পোস্টার।
সূত্রঃ লেখক, কাহিনীকার, সাংবাদিক মুজতবা সউদ’র ফেসবুক থেকে সংগৃহীত।