
ক্রলির সঙ্গে ইনিংস ওপেন করতে এসেছিলেন ছয় বছরের বেশি সময় পর টেস্ট খেলতে নামা ডাকেট। তবে বেন স্টোকস ও ব্রেন্ডন ম্যাককালাম জুটির প্রথম বিদেশ সফরের প্রথম দিনে ছাপ রাখলেন এই বাঁহাতি ওপেনারও। প্রথম সেশনে ২৭ ওভারেই ইংল্যান্ড তুলে ফেলে ১৭৪ রান। টেস্টের প্রথম সেশনে ইংল্যান্ডের সেটিই সর্বোচ্চ স্কোর। মধ্যাহ্নবিরতিতে যাওয়ার আগে ক্রলি সেঞ্চুরি থেকে ৯ রান দূরে দাঁড়িয়ে ছিলেন, ডাকেট অপরাজিত ছিলেন ৭৭ রানে।
স্কোর | ম্যাচ | ভেন্যু | মৌসুম |
৫০৬ | ইংল্যান্ড (৫০৬/৪)-পাকিস্তান | রাওয়ালপিন্ডি | ২০২২-২৩ |
৪৯৪ | অস্ট্রেলিয়া (৪৯৪/৬)-দক্ষিণ আফ্রিকা | সিডনি | ১৯১০-১১ |
৪৮২ | অস্ট্রেলিয়া (৪৮২/৫)-দক্ষিণ আফ্রিকা | অ্যাডিলেড | ২০১২-১৩ |
৪৭৫ | অস্ট্রেলিয়া (৪৭৫/২)-ইংল্যান্ড | ওভাল | ১৯৩৪ |
৪৭১ | ইংল্যান্ড (৪৭১/৮)-ভারত | ওভাল | ১৯৩৬ |
ক্রলি ও ডাকেট ফেরেন পরপর দুই ওভারে। দুজনকেই ফিরিয়েছেন অভিষিক্ত দুজন। জাহিদ মাহমুদের বলে এলবিডব্লু হন ডাকেট, পাকিস্তান সে উইকেট পায় রিভিউ নিয়ে। ক্রলি বোল্ড হন হারিস রউফের রিভার্স সুইংয়ে। ১১০ বলে ১০৭ রানের ইনিংসে ১৫টি চার মেরেছেন ডাকেট, ২১ চারে ১১১ বলে ১২২ রান ক্রলির।

২ ওভারের মধ্যে ফিরে গেছেন দুজন থিতু ব্যাটসম্যান, তবে তাতে কিছু যায় আসেনি। মুখোমুখি তৃতীয় বলেই রিভার্স সুইপে চার মেরেছেন ওলি পোপ, জাহিদের ওই ওভারে মেরেছেন আরও ২ চার। ইংল্যান্ডের বাউন্ডারি-উৎসবে ‘ম্লান’ ছিলেন জো রুটই। ৩১ বলে ২৩ রানের ইনিংসে মেরেছেন ৩টি চার, জাহিদকে সুইপ করতে গিয়ে হয়েছেন এলবিডব্লু। পোপের সঙ্গে তাঁর জুটিতে ওঠে ৫৫ বলে ৫১ রান।
পাকিস্তানের ওপর এরপর চড়াও হন পোপ ও হ্যারি ব্রুক। ইংল্যান্ডের রানের গতি আটকাতে না পেরে পার্ট-টাইম বোলার সৌদ শাকিলকে এনেছিলেন বাবর আজম, এ বাঁহাতি স্পিনারের করা ৬৮তম ওভারে ব্রুক মেরেছেন ৬টি চার! পোপের সেঞ্চুরি অবশ্য হয়ে গেছে তার আগেই, ক্যারিয়ারের তৃতীয় সেঞ্চুরি পেতে তাঁর লেগেছে ৯০ বল। ব্রুকের লেগেছে ৮০ বল। ১২০ বছর আগে গিলবার্ট জেসপ ৭৬ বলে করেছিলেন সেঞ্চুরি, ব্রুক আরেকটু হলে ইংল্যান্ডের সে রেকর্ড ভেঙে দিতে পারতেন। সেটি না হলেও ঝড় থামেনি। মোহাম্মদ আলীর বলে এলবিডব্লু হয়ে পোপ ফিরেছেন ১০৪ বলে ১৪ চারে ১০৮ রান করে। অধিনায়ক বেন স্টোকস দিন শেষে অপরাজিত ১৫ বলে ৩৪ রান করে।
ক্রিকভিজের ডেটা অনুযায়ী, আজ মুখোমুখি বলগুলোর ৬৪ শতাংশেই আক্রমণ করেছে ইংল্যান্ড। বল বাই বল ডেটা সংরক্ষণ করার পর থেকে কোনো ইনিংসে যেটিই সর্বোচ্চ। আলোকস্বল্পতায় খেলা বন্ধ হওয়ার পর নিশ্চিতভাবেই সবচেয়ে বেশি স্বস্তি পেয়েছেন পাকিস্তান বোলাররা। আজ সবচেয়ে কম ইকোনমি যাঁর, সেই আলীও ওভারপ্রতি দিয়েছেন ৫.৬৪ করে রান।