সৈয়দ উদ্দীন আহমেদ। ডাক নাম ছটকু। চলচ্চিত্র শিল্পে সবাই যাকে ছটকু আহমেদ নামে চেনে, ভালোবাসে। শিক্ষায় তিনি একজন মেকানিকাল ইঞ্জিনিয়ার। কিন্তু, পেশায় কাহিনী, চিত্রনাট্য ও সংলাপ রচয়িতা, পাশাপাশি পরিচালক এবং প্রযোজক। প্রায় সাড়ে তিনশো’ চলচ্চিত্রের কাহিনী, চিত্রনাট্য কিংবা সংলাপ লিখেছেন ছটকু আহমেদ। পরিচালনা করেছেন বেশ কটি চলচ্চিত্র।
শিক্ষা জীবনেই নাটক ও সংস্কৃতির প্রতি ছিলো তার আকর্ষণ। এ সময় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের “ডাকঘর” নাটকটি পরিচালনা করে সবার প্রশংসা পেয়েছিলেন। ১৯৭২ সালে তিনি ঋত্বিক ঘটকের “তিতাস একটি নদীর নাম” ছবির সহকারী পরিচালক হিসেবে চলচ্চিত্রে সংশ্লিষ্ট হন। “নাত বৌ” তার পরিচালনার প্রথম ছবি । এতে অভিনয় করেন তখনকার সুপারহিট জুটি রাজ্জাক-ববিতা। এরপর ‘রাজদণ্ড’, ‘গৃহবিবাদ’, ‘চেতনা’, ‘মায়া-মমতা’, ‘সত্যের মৃত্যুর নেই’, ‘বুকের ভেতর আগুন’, ‘বুকভরা ভালোবাসা’, ‘মিথ্যার মৃত্যু’, ‘প্রতিবাদী মাস্টার’ ও ‘আজকের রূপবান’সহ ১৫টি সিনেমা পরিচালনা করেছেন তিনি। তার বহুল আলোচিত ও ব্যাবসা সফল ছবি “সত্যের মৃত্যু নাই”। পেয়েছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার, বাচসাস পুরস্কার সহ অনেক অনেক পুরস্কার পদক ও সম্মাননা।
দীর্ঘ ক্যারিয়ারে ছটকু আহমেদ তিন শতাধিক সিনেমার কাহিনি, চিত্রনাট্য ও সংলাপ রচনা করেছেন। যার মধ্যে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছে ‘সত্য মিথ্যা’, ‘বাংলার বধূ’, ‘লালু মাস্তান’, ‘পিতা মাতা সন্তান’, ‘ঘাতক’ ও ‘চেতনা’। তিনি এজে মিন্টু পরিচালিত ‘সত্য মিথ্যা’ সিনেমার সংলাপ করে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন।
আমি তাঁকে ওস্তাদ বলি। কারণ, আমার চলচ্চিত্র গুরু প্রয়াত এম. এম সরকার এরও সিনিয়র চলচ্চিত্র ব্যাক্তিত্ব তিনি। এছাড়াও আমাদের “জনতার নিঃশ্বাস” এর সম্মানিত উপদেষ্টা তিনি। তিনি বর্তমানে একটু অসুস্থ।
আজ ৬ অক্টোবর ছটকু আহমেদ ওস্তাদ এর শুভ জন্মদিনে আমি ও ‘জনতার নিঃশ্বাস’ পরিবার তাকে শুভেচ্ছা জানিয়ে প্রার্থনা করি, মহান আল্লাহ যেন তাঁকে দ্রুত সুস্থতা দান করেন, আবার আমাদের মাঝে ফিরে আসবেন সেই তওফিক দান করেন।