ববিতা। বিশ্ব চলচ্চিত্রের আঙিনায় এই নামটি উচ্চারণই যথেষ্ট। ২৩ তম বার্লিন ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে সত্যজিৎ রায়ের “অশনি সংকেত” ছবিটি “গোল্ডেন বিয়ার” পুরস্কার অর্জন করে। ওই চলচ্চিত্রের প্রধান অভিনয় শিল্পী ছিলেন ববিতা। সারা বিশ্বের চলচ্চিত্র অংগনে ব্যাপক পরিচিতি ও প্রশংসিত হন তিনি। তাঁর খ্যাতি এতটাই বিস্তৃত হয় যে, মস্কো ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের উদ্বোধনী পতাকা উত্তোলন, তাসখন্দ সহ বিভিন্ন ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের প্রতিযোগিতা বিভাগের জুরি সদস্যের দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। বাংলাদেশে তিনি চলচ্চিত্রের আন্তর্জাতিক দূত হিসেবে আখ্যায়িত হয়ে থাকেন। একাধিক বার পেয়েছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার, বাচসাস পুরস্কার সহ দেশে এবং বিদেশে নানান পুরস্কার, পদক ও সম্মাননা। জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে তিনি আজীবন সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন।
ববিতা তাঁর পর্দা নাম। এই নামেই বাংলাদেশ, ভারত সহ তামাম বিশ্ব চলচ্চিত্রে তিনি সুপরিচিত। আসল নাম ফরিদা আক্তার পপি। ৩০ জুলাই, ঋদ্ধ দর্শকদের প্রিয় এই অভিনয় শিল্পী জন্মগ্রহণ করেন। জন্মদিনের শুভেচ্ছা ববিতার প্রতি।
ছবির গল্পঃ
(বামে) ববিতা। বাংলাদেশে প্রথম কোন নায়ক নায়িকার চুম্বন দৃশ্য সেন্সর অনুমোদন পায় রাজ্জাক ববিতা অভিনীত অনন্ত প্রেম ছবিতে। তবে পরবর্তীতে নায়করাজ রাজ্জাক ছবিতে ওই দৃশ্য রাখতে দেননি সামাজিক ছবির দর্শকদের কথা বিবেচনা করে। এ বিষয়ে ১৯৭৭ সালে সাপ্তাহিক চিত্রালীতে প্রকাশিত প্রচ্ছদ প্রতিবেদন।
সূত্রঃ কাহিনীকার, কলামিষ্ট, প্রবীণ সাংবাদিক মুস্তবা সউদ’র থেকে সংগৃহীত।