ছোটপর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী হুমায়রা হিমু আর নেই (ইন্নালিল্লাহি ওয়াইন্না ইলাইহি রাজিউন)। গণমাধ্যমকে তার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন অভিনয় শিল্পী সংঘের সভাপতি আহসান হাবিব নাসিম। তিনি বলেন, ‘হুমায়রা হিমুকে উত্তরার একটি হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন।’
জানা গেছে, বর্তমানে হিমুর মরদেহ রাজধানীর উত্তরা আধুনিক হাসপাতালে রয়েছে। আজ দুপুরের পরে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল। নেওয়ার পর ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তবে কী কারণে মারা গেছেন, সেটা জানা যায়নি। এতে হুমায়রা হিমুর মৃত্যুর কারণ নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে অভিনয় শিল্পী সংঘের সাধারণ সম্পাদক রওনক হাসান গণমাধ্যমকে বলেন, ‘এখনই নিশ্চিত করে কিছু বলা যাচ্ছে না। আমরা ঘটনাস্থলে যাচ্ছি। সেখানে গেলে বোঝা যাবে ঘটনা কি।’
উল্লেখ্য, লক্ষ্মীপুরের মেয়ে হুমায়রা হিমু মঞ্চনাটকের মাধ্যমে অভিনয় জগতে পা রাখেন। ২০০৬ সালে টেলিভিশন নাটক ‘ছায়াবীথি’-তে প্রথম অভিনয় করেন। ছোট পর্দার পাশাপাশি হিমু নাম লিখিয়েছেন চলচ্চিত্রেও। ২০১১ সালে ‘আমার বন্ধু রাশেদ’ সিনেমার মাধ্যমে এই ভুবনে তার অভিষেক হয়। মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক এ চলচ্চিত্রে ‘অরু’ চরিত্রে অভিনয় করে দারুণ প্রশংসা কুড়ান তিনি। ‘তোরে কত ভালোবাসি’ শিরোনামে একটি চলচ্চিত্রের কাজ শেষ করেছেন হিমু।
নাট্য নির্মাতা ফরিদুল আলম ফরিদ বলেন, আমার প্রথম পরিচালিত নাটকের নায়িকা হুমায়রা হিমু মারা গেছেন। সহকারী পরিচালক থেকে পরিচালক হিসেবে আমার আত্মপ্রকাশ হয় ১ ঘন্টার নাটক “দুঃস্বপ্ন” দিয়ে। এ নাটকের নায়িকা অর্থাৎ প্রধান নারী চরিত্রে অভিনয় করেন হুমায়রা হিমু, বিপরীতে ছিলেন লিটু আনাম। নাটকটি বাংলাদেশ টেলিভিশনে প্রচারিত হয়।
নির্মাতা ফরিদুল আলম ফরিদ আরো বলেন, হুমায়রা হিমুর সাথে ১ ঘন্টার নাটক “দুঃস্বপ্ন” এর আগেও অভিনেতা আদিত্য আলম পরিচালিত একটি ধারাবাহিক নাটক ও বিজ্ঞাপন এ সহকারী পরিচালক হিসেবে কাজ করি। অত্যান্ত হাসিখুশি ও চঞ্চল মানুষ ছিলেন অভিনেত্রী হুমায়রা হিমু। একটি সুত্রে যানা যায়, ইদানিং হুমায়রা হিমু নাটক সিনেমায় অভিনয়ের চেয়ে বিগো লাইভ নামে একটি লাইভ এ্যাপ্স এ তাকে সময় বেশি দিতে দেখা যায়। বিগো লাইভ এ্যাপ্স থেকে মাসে অনেক টাকাও রোজগার করতেন বলে জানা যায়। বিগো লাইভ এ্যাপ্স এ হিমু ছিলো একজন পপুলার ব্যাক্তি। দেশি ইউজার ছাড়াও বিদেশী ও প্রবাসী বাংলাদেশিদের সাথে তার ভালো একটা বন্ডিং ছিলো। বিগো লাইভ এ্যাপ্স এ ঢুকলেই তাকে দিনে রাতের বেশিরভাগ সময় দেখা যেতো। সারা রাত জেগে বন্ধুদের সাথে আড্ডায় মেতে থাকতেন, হাসিখুশিতে থাকতেন। তবে কি কারণে মৃত্যু বরণ করলেন তার সঠিক কারণ এখনো জানা যায় নি।