২৭ আগস্ট থেকে শুরু হতে যাওয়া এশিয়া কাপ খেলতে মঙ্গলবার (২৩ আগস্ট) দেশ ছেড়েছে বাংলাদেশ দল। তবে দলের সাথে নেই হেড কোচ! টাইগারদের হেড কোচ রাসেল ডমিঙ্গো এখন শুধু টেস্ট ও ওয়ানডে কোচ। টি-২০ ফরম্যাটে নেই। তার জায়গায় বিসিবি নিয়োগ দিয়েছে ভারতীয় বংশোদ্ভূত অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী শ্রীধরন শ্রীরামকে। নিয়োগ দিয়েছে ‘টেকনিক্যাল কনসালটেন্ট’ হিসেবে। ২০ ওভারের ফরম্যাটে শ্রীধরনই ম্যাচ পরিকল্পনা করবেন। দলকে নেতৃত্ব দেবেন সাকিব আল হাসান।
এশিয়া কাপ থেকেই টি-টোয়েন্টিতে পরিবর্তনের ছোঁয়া লাগবে; নাজমুল হাসান পাপনের এমন আভাসের এক দিন না যেতেই জানা যায়, এই সংস্করণের জন্য কোচ হিসেবে আসছেন শ্রীরাম। প্রধান কোচ ডমিঙ্গোকে টি-টোয়েন্টি থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়, শ্রীরাম টেকনিক্যাল অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবে আসলেও কল কাঠি নাড়বেন তিনিই।
বাংলাদেশে আসার পর শ্রীরাম গণমাধ্যমের মুখোমুখি হননি। গণমাধ্যম কর্মীরা দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষার পরও তিনি যেন মুখে কুলুপ এঁটেছিলেন। অবশেষে আরব আমিরাতে বৃহস্পতিবার (২৫ আগস্ট) বাংলাদেশের প্রথম অনুশীলনের দিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন শ্রীরাম। তার কথায় ছিল পরিবর্তনের ছোঁয়া। প্রথম দিনেই জানালেন তিনি অস্ট্রেলিয়া ও আইপিএলে কোচিংয়ের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে টি-টোয়েন্টিতে নতুনত্ব আনতে চান।
শ্রীরাম বলেন, ‘অস্ট্রেলিয়া ও আইপিএলে আমার অর্জিত টি-টোয়েন্টির কোচিং অভিজ্ঞতা কাজে লাগানোটা পরিকল্পনা। আমি আমার ভূমিকা সম্পর্কে পরিষ্কার। আমি বলছি না যে দলটাকে আমি নেতৃত্ব দিচ্ছি। আমি কেবল সবগুলো বিষয়কে সমন্বয় করবো।’
তার পরিকল্পনাটা কেমন হতে পারে? সেটি বলতে গিয়েই শ্রীরাম শোনালেন নতুনত্বের গল্প। ‘আমি একদম নতুন দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে এসেছি। আমি পুরোনো কিছু আনছি না, এভাবে দেখছি না যে বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি খারাপ করে। আমার দৃষ্টিভঙ্গিটা নতুন। আমি নিজের ভাবনা ও নতুন শক্তি নিয়ে কাজ করতে চাই যা টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের কাজে লাগবে।’
জানিয়েছেন টিম ডিরেক্টর সুজন, ব্যাটিং পরামর্শক জেমি সিডন্স হতে শুরু করে কোচিং প্যানেলের সব সদস্যকে সমন্বয় করে সামনে পা বাড়াতে চান। ‘আমার কাছে আমার দায়িত্বটা খুব পরিষ্কার। এখানে খুব ভাল স্কিল কোচ আছে, আমি ওদের কাজকে সম্পূর্ণ শ্রদ্ধা করি। আমার কাজ হল অধিনায়ক, কোচ ও টিম ডিরেক্টরের সঙ্গে এক হয়ে কাজ করা এবং এই তিন রিসোর্সগুলোর সঠিক সমন্বয় করা।’