আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নে কৃষিতে বিপ্লব আনতে চান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর পথ অনুসরণ করে আমরা পেরিয়ে আসছি সাফল্যের এ সোনালি পথ।
তিনি বলেন, জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকীতে ব্যাপক প্রস্তুতি ও পরিকল্পনা থাকা সত্ত্বেও করোনার কারণে আমরা তা যথাযথ মর্যাদায় উদযাপন করতে পারিনি। তাই কৃষি প্রধান সবুজ বাংলার বিশাল ক্যানভাসকে ব্যবহার করে প্রথমবারের মতো আমরা বঙ্গবন্ধুকে তুলে ধরতে একটি নতুন ধরনের চিত্রকর্ম আঁকতে যাচ্ছি। যার ফলে বিশ্ববাসীর সামনে কৃষক দরদি হয়ে উঠবেন বঙ্গবন্ধু। এটি হবে জাতির পিতার জন্মবার্ষিকীর এক অনন্য উদযাপন। সেই সঙ্গে শস্যচিত্র সৃষ্টির মাধ্যমে বাংলাদেশ ও বঙ্গবন্ধুর নাম গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে ঠাঁই নেবে এবং দেশের জন্য অর্জিত হবে একটি নতুন ইতিহাস। বগুড়ার শেরপুর উপজেলার ভবানীপুর ইউনিয়নের বালেন্দা গ্রামে শুক্রবার দুপুরে ‘শস্যচিত্রে বঙ্গবন্ধু’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে নানক এসব কথা বলেন। শস্যচিত্রে বঙ্গবন্ধু জাতীয় পরিষদের প্রধান পৃষ্ঠপোষক ও আহ্বায়ক এবং আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিমের সভাপতিত্বে প্রধান বক্তা হিসাবে বক্তব্য রাখেন, আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল হোসেন। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, শস্যচিত্রে বঙ্গবন্ধু জাতীয় পরিষদের উপদেষ্টা ও কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি কৃষিবিদ সমীর চন্দ, সিরাজগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য তানভীর শাকিল জয়, বগুড়া-৫ আসনের সংসদ সদস্য হাবিবর রহমান, বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মজিবর রহমান মজনু, সাধারণ সম্পাদক রাগেবুল আহসান রিপু প্রমুখ। উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বালেন্দায় ১২০ বিঘা জমিতে বঙ্গবন্ধুর শস্যচিত্র আঁকতে ধানের চারা রোপণ করা হয়।
যেভাবে বাস্তবায়িত হচ্ছে শস্যচিত্রে বঙ্গবন্ধু : বালেন্দা গ্রামে ইতোমধ্য দুই রংয়ের সোনালি ও বেগুনি ধানের চারা রোপণ করা হয়েছে। এ জন্য কৃষি অধিদপ্তর থেকে একশ’ বিএনসিসি ক্যাডেট সদস্যকে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে প্রস্তুত করা হয়। লে আউট বা নকশা অনুযায়ী সোনালি ও বেগুনি রংয়ের ধান ব্যবহার করে আঁকা হবে বিশাল পোর্ট্রেট। চারা রোপণের পর থেকে পুরো ক্যানভাসটিকে ছোট ছোট গ্রিডে ভাগ করে লে আউটের পর বিশেষজ্ঞ টিমের মাধ্যমে ও আধুনিক কৃষি প্রযুক্তির সমন্বয়ে ধাপে ধাপে পরীক্ষা করা হবে।
তবে গিনেস ওয়ার্ল্ড বুক রেকর্ড অনুযায়ী ২০১৯ সালে চীনে ৮ লাখ ৫৫ হাজার ৭৮৬ বর্গফুটের সর্ববৃহৎ শস্যচিত্র তৈরি করা হয়েছিল। তাই বাংলাদেশ শস্যচিত্রে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি তৈরি করতে এ বছর ১২ লাখ ৯২ হাজার বর্গফুট জায়গা ব্যবহার করবে। তবে শস্যচিত্রে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি পূর্ণাঙ্গ ফসল আকারে পাওয়া যাবে ২১ ফেব্রুয়ারি। মাতৃভাষা দিবসে ‘শস্যচিত্রে বঙ্গবন্ধু’র ভিডিওসহ প্রয়োজনীয় দলিল গিনেস কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হবে এবং ১৭ মার্চ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিনে বাংলাদেশ নতুন বিশ্বরেকর্ড অর্জন করবে।