সুনামগঞ্জের জেলার দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলায় মানসিক ভারসাম্যহীন মেয়ের ইটের আঘাতে বৃদ্ধ মায়ের মৃত্যু হয়েছে।
নিহত শফিকুন নেছা আক্তাপাড়া গ্রামের ইস্কান্দর আলীর স্ত্রী। মেয়ে হালিমা বেগম (২২) ২ সন্তানের জননী ও ৭ মাসের অন্তঃসত্ত্বা বলে জানা গেছে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, সফিকুন নেছার মেয়ে হালিমা বেগম বছরের বেশীর ভাগ সময়ই ভারসাম্যহীন অবস্থায় থাকেন। ৩-৪ বছর আগে হালিমা বেগমকে সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ উপজেলার কামলাবাজ গ্রামে আলী নুরের সঙ্গে বিয়ে দেয়া হয়।
বিয়ের পর বেশীর ভাগ সময়ই মানসিক ভারসাম্যহীন থাকায় হালিমা বেগম তার বাবার বাড়ি আক্তাপাড়া গ্রামে বসবাস করে আসছিলেন।
সোমবার রাত ১০টায় তার মা সফিকুন নেছা মেয়ে হালিমা বেগমের রাতের বিছানা গুছিয়ে খাবার দিতে যান। এসময় লোহার শিকলে বাঁধা হালিমা বেগম পাশে থাকা ইট দিয়ে তার মা সফিকুন নেছার মাথায় সজোরে আঘাত করেন। এতে সফিকুন নেছার মাথার মগজ থেঁতলে বেরিয়ে আসে।
তাৎক্ষণিকভাবে পরিবারের লোকজন সফিকুন নেছাকে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে রাত ২টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
খবর পেয়ে সুনামগঞ্জ সদর থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য সফিকুন নেছার লাশ সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেন।
দক্ষিণ সুনামগঞ্জ থানার ওসি কাজী মোক্তাদির হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে যুগান্তরকে বলেন, ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।