মেয়ে ইলহামকে নিয়ে এভাবেই বাসা থেকে কাজে বের হচ্ছিলেন নসুরাত ইমরোজ তিশা
মেয়ে ইলহামকে নিয়ে এভাবেই বাসা থেকে কাজে বের হচ্ছিলেন নসুরাত ইমরোজ তিশা লম্বা সময় ধরে কাজে নেই জনপ্রিয় অভিনয়শিল্পী নুসরাত ইমরোজ তিশা। গত জানুয়ারিতে মা হওয়ার পর থেকে মেয়ে ইলহামকে নিয়েই ছিল তাঁর ব্যস্ততা। আজ রোববার এ অভিনয়শিল্পী তাঁর ফেসবুক পেজে একটি ছবি পোস্ট করে জানিয়েছেন, কাজে ফিরছেন। ‘মুজিব’ ছবির ডাবিং দিয়ে কাজ শুরু করছেন তিনি।
গত বছরের এপ্রিল মাসে ‘মুজিব’ সিনেমার শুটিংয়ে অংশ নেন তিশা। চলচ্চিত্রে তাঁর অংশের শুটিং হয়েছে ভারতের মুম্বাইতে। এ ছবিতে তিনি অভিনয় করেছেন বঙ্গবন্ধুর স্ত্রী রেণুর (শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব) চরিত্রে। শুটিং শেষে জানতে পারেন, মা হতে যাচ্ছেন তিনি। তারপর সব ধরনের আউটডোর শুটিং থেকে নিজেকে গুটিয়ে নেন তিশা। এ কারণে ‘মুজিব’ ছবির ডাবিং করতে পারেননি। আজ রোববার শুরু হলো সেই কাজ। বঙ্গবন্ধুর জীবনীচিত্রের নাম শুরুতে ছিল ‘বঙ্গবন্ধু’, পরে ছবির নাম বদলে রাখা হয় ‘মুজিব: একটি জাতির রূপকার’।
দীর্ঘ সময় ঈদের নাটকে দেখা যেত তিশাকে। কিন্তু অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার পর কাজ থেকে সাময়িকভাবে নিজেকে গুটিয়ে রাখেন তিনি। ঈদের আগেই একটি পুরস্কার প্রদানের অনুষ্ঠানে হাজির হয়েছিলেন তিশা। ধারণা করা হয়, শুটিংয়েও ফিরছেন তিনি। ঈদে নতুন কোনো নাটক প্রচারের সম্ভাবনা নেই।
নাটকের পাশাপাশি চলচ্চিত্রেও অভিনয় করেন তিশা। তবে এর আগে কোনো চলচ্চিত্রে অভিনয় করতে গিয়ে এমন ঘটনা ঘটেনি, যা ঘটেছে ‘মুজিব’ চলচ্চিত্রে। এ চলচ্চিত্রে কাজ করার জন্য তিনি মাত্র এক টাকা পারিশ্রমিক নিয়েছেন। প্রথম আলোকে খবরটি জানান তিনি নিজেই। তিনি বলেন, ‘সম্মানী এক টাকা নিয়েছি, এটা নিয়ে অনেকে অনেক কিছু আমাকে জিজ্ঞাসা করেছে। কী কারণে, কেন এমনটা করেছি? আমি বলতে চাই, সম্মানী নেওয়ার ব্যাপারটা একেবারে ব্যক্তিগত ইস্যু ছিল। এখানে ভালোবাসা ও আবেগটা বেশি কাজ করেছে। আমার মনে হয়েছে, আমাদের দেশের জন্মের ইতিহাস নিয়ে একটা চলচ্চিত্র হচ্ছে, যেখানে আমি বেগম মুজিবের চরিত্রে অভিনয় করেছি—এমন একটি কাজের জন্য তো পারিশ্রমিক নির্ধারণ করার কথা ভাবতেই পারি না। এ চরিত্রের জন্য কোনো অ্যামাউন্টই কিছু নয়। তাই আমি ভেবেছি, শুধু শিল্পী হিসেবে মাত্র এক টাকা সম্মানী নেব।’
‘মুজিব’ চলচ্চিত্র পরিচালনা করছেন ভারতীয় পরিচালক শ্যাম বেনেগাল। এই চলচ্চিত্র তিশা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের ২০ বছর বয়স থেকে মৃত্যুর আগপর্যন্ত চরিত্রে তিশাকে দেখা যাবে। অভিনয়শিল্পীদের যাঁরাই এ চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন, সবার সস্তি, তাঁরা ইতিহাসের অংশ হতে পারছেন। তিশা বলেন, ‘এ ছবিতে কাজ করা ইতিহাসের অংশ হওয়া। কিছু কিছু অনুভূতি সব সময় প্রকাশ করা সম্ভব হয় না। আমি মনে করি, বড় সুযোগগুলোর সঙ্গে থাকে বড় রকমের দায়িত্ব। এটা অনেক বড় প্ল্যাটফর্ম। বাংলাদেশের জন্মের ইতিহাস যাঁর মাধ্যমে রচিত হয়েছে, যাঁর কথা সেই ছোটবেলা থেকে শুনে এসেছি, সেই ছবিতে অভিনয় করতে গিয়ে সেই পরিবারের অংশ হতে পেরেছি, এটা তো নিঃসন্দেহে অভিনয়শিল্পী হিসেবে ভীষণ ভালো লাগার ব্যাপার। দেশের বাইরের একটি ইউনিটের সঙ্গে কাজ করেছি, এটাও দারুণ একটা অভিজ্ঞতা।’
Good post. I learn something totally new and challenging on blogs I stumbleupon every day. It will always be interesting to read through articles from other writers and use a little something from other sites.