সোমবার, ২৯ মে ২০২৩, ১১:৫৫ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
পরিচালক কাজী হায়াতকে পাল্টা জবাব সোহান-মানিক-খোকনের ‘ভিক্ষা চাইছি, আরিয়ানকে জেলে ভরবেন না’, আকুতি শাহরুখ খানের মারা গেছেন ‘আরআরআর’ খ্যাত অভিনেতা রে স্টিভেনসন চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতিকে বাচসাসের আল্টিমেটাম ‘তোর বুকের পাটা কত বড় দেইখা দিতাম’, আবু সাঈদ চাঁদের উদ্দেশে ডা. মুরাদ সিরিয়াল কিলার ও আন্ডার ওয়ার্ল্ডের কাহিনি নিয়ে আসছে নাটক সুইটি মেহেন্দিগঞ্জে জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীদের নিয়ে ঈদ পুনর্মিলনীর আয়োজন করেছেন মিজানুর রহমান! মেহেন্দিগঞ্জে বসত বাড়িতে গাঁজা চাষ করে পুলিশের হাতে আটক খোরশেদ আলম রাঢ়ী ! মেহেন্দিগঞ্জে রোজার ছুটিতে টেন্ডার ছাড়াই কলেজের গাছ কেটে নিলেন আলোচিত অধ্যক্ষ! মেহেন্দিগঞ্জে আওয়ামী লীগ নেতার জানাজা ও দাফন সম্পন্ন, ড. শাম্মি আহমেদ এর শোক প্রকাশ

হিরো আলম ইস্যুতে কথা বলেছেন তারকা অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী

কাউসার আলম
  • প্রকাশ সময়ঃ বৃহস্পতিবার, ৩০ মার্চ, ২০২৩
  • ৪৫ বার পড়া হয়েছে
কিংবদন্তী নাট্যজন মামুনুর রশীদের এক মন্তব্য ঘিরে বেশ কয়েকদিন ধরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচনার ঝড় বইছে। সেই মন্তব্যের জেরে পাল্টা মন্তব্য করেছেন হিরো আলম। এরপর থেকে কেউ মামুনুর রশীদের মন্তব্যের পক্ষে ব্যাখ্যা দিচ্ছেন, কেউ আবার ফুঁসে উঠছেন আলমের পক্ষ নিয়ে। কেবল সাধারণ নেটিজেন নয়, সংস্কৃতি অঙ্গনের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরাও সামিল হয়েছেন এই ‘হট কেক’ ইস্যুতে।
শোবিজ অঙ্গনের অনেকেই এ নিয়ে কথা বলছেন, পোস্ট করছেন ফেসবুকে। এমন ইস্যুতে কথা বলেছেন তারকা অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরীও। সবার কাছে প্রশ্ন রেখে তিনি লিখেন, ‘মাধ্যমটা সামাজিক নাকি অসামাজিক?’
এরপর তিনি লিখেন, ‘সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ঘাড়ে চেপে যখন অবাধে অসামাজিক কার্যকলাপ চলতে থাকে, তখন আমরা অধিকাংশ মানুষই শুধু নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করি। এটি এখন আমাদের ব্রেইনের ওপর বিষফোঁড়াসম সমস্যায় পরিণত হয়েছে। আমরা বাক স্বাধীনতার কথা বলে মুখে ফেনা তুলে ফেলি, অথচ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অধিকাংশ মানুষ স্বেচ্ছাচারীর মত যা খুশী করছে,যা ইচ্ছে বলছে। প্রশ্নটা এখানেই..।
আধুনিকতা আর সম অধিকারের ঝাণ্ডা তুলে, অধিকাংশ ক্ষেত্রে আপনি কি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকে অপব্যবহার করছেন না? আপনার অরক্ষিত এই কার্যকলাপে, সমাজ বা নতুন প্রজন্ম কতটুকু প্রভাবিত হচ্ছে, সেটুকু ভাবার অবকাশ কি আপনার আছে? আপনি কি সত্যিই সমাজের জন্য মঙ্গলজনক কিছু করছেন?’
তিনি আরও লিখেন, ‘ছোটবেলায় পড়তাম বিজ্ঞান “আশীর্বাদ নাকি অভিশাপ?” বিজ্ঞান বা প্রযুক্তির সঠিক ব্যবহারই এই প্রশ্নের সঠিক উত্তর দিতে পারে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সঠিক ব্যবহারই হয়তো জাতির জন্য ভালো ভূমিকা রাখতে পারতো, কিছু কিছু ক্ষেত্রে হয়তো রাখেও। কঠিন সত্য এটাই, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বর্তমানে যতটা না সামাজিক কর্মক্ষেত্র, তার চেয়ে অনেক গুন বেশী ব্যক্তিগত বাণিজ্য ক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। ফেসবুকে “REEL” নামক একটি বিষয় আছে।এখানে অধিকাংশই যে কতটা অশ্লীল, ভাবতেও অবাক লাগে।
আমি ব্যক্তিগতভাবে এসব অশ্লীলতার বিরুদ্ধচারণ করি। সেন্সর বিহীন এসকল অশ্লীল কার্যকলাপ কে বন্ধ করবে?? এখানে রাষ্ট্রের যথাযথ কর্তৃপক্ষের বা আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ এবং দায়িত্বশীল ভূমিকা কি আমরা আশা করতে পারিনা? সেই সাথে আপনার বা আমার অসচেতনতা অথবা সমর্থনের ভেতর দিয়ে তথাকথিত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জন্ম নিচ্ছে বিতর্কিত কিছু ভাইরাল ব্যক্তি। সে যখন আপনার কাছে পিতৃত্ব বা মাতৃত্ব দাবী করবেন, আপনি কি অস্বীকার করতে পারবেন? পারবেন না।
কারণ আপনার বালখিল্য আচরণ, উদাসীনতা আর সস্তা বিনোদন প্রিয়তায় আপনি সেই সন্তানকে জন্ম দিয়েছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। আপনার অরক্ষিত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ব্যবহারই এর জন্য দায়ী। আপনি কি আপনার সন্তানের কথা ভাবেন, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের মঙ্গলের কথা চিন্তা করেন? যদি করেন, তাহলে অবশ্যই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারেও আপনাকেও অনেক দায়িত্বশীল হতে হবে। তথাকথিত কিছু অসৎ রাজনীতিবিদদের কারণে যেমন রাজনীতি কলুষিত, তেমনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আপনার বা আমার সমর্থনে গজিয়ে ওঠা ভাইরাল ব্যক্তিদের কারণে সংস্কৃতি কলুষিত হচ্ছে।
এর জন্য অন্য কেউ দায়ী নয়…. দায়ী আপনি বা আমি, দায়ী আমাদের নিম্ন মানসিকতা। আপনি কাকে অনুসরণ করবেন বা সমর্থন দেবেন বা কে হবে এই দেশে আপনার রাজনৈতিক বা সাংস্কৃতিক আদর্শ, চূড়ান্ত ভাবনার এই সময়টুকুও বোধ করি পেরিয়ে যাচ্ছে। আমাদের ক্ষেত্রে বিষয়গুলো অবজ্ঞা করার মত হলেও, আমাদের সন্তানেরা ভবিষ্যতে অনুসরণ বা শ্রদ্ধা করার মত কাউকে পাবেনা। পরিচিত হতে হবে আপনার রুচিতে জন্ম দেয়া কোন ভাইরাল বিনোদন ব্যক্তির উত্তরসূরি হিসেবে। কারণ আপনি বা আমি ঠিক বেঠিক বা উচিত অনুচিতের পার্থক্য ভুলে সস্তা বিনোদন প্রিয় জাতিতে পরিণত হয়ে গেছি। বুঝতে পারছেন কি সামনে কতটা অন্ধকার?
চুপ করে থাকা রাজনৈতিক, সংস্কৃতিবান এবং রুচিশীলদেরকে বলছি- প্রস্তুত থাকুন, আপনাকে যে কোন উপায়ে টেনে হিঁচড়ে নীচে নামানো হবে। তাই এখনো সময় আছে মুখ খুলুন, প্রতিবাদ করুন। এই ব্যর্থতা প্রথমত রাষ্ট্রের, দ্বিতীয়ত তথাকথিত সংস্কৃতি কর্মীদের। যাদের নৈতিক দায়িত্ব ছিল জাতিকে সঠিক পথ দেখানো, সঠিক গন্তব্যে পৌঁছে দেয়া।

দয়া করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর
May 2023
S M T W T F S
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
2930  
© All rights reserved © 2023 Janatarnissash
Theme Dwonload From