জুলাই গণঅভ্যুত্থানের দেশের বিভিন্ন স্থানে ত্যাগী, অভিজ্ঞ রাজনীতিবিদদের নাম আবারও উঠে আসতে শুরু করেছে। বিশেষ করে এক যুগেরও বেশি সময় নির্যাতনের শিকার হওয়া বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের অনেক নেতার প্রতি মানুষের আগ্রহ নতুন করে তৈরি হয়েছে। এঁদেরই একজন নোয়াখালী জেলা বিএনপির বীর মুক্তিযোদ্ধা এ.জেড.এম গোলাম হায়দার বি.এস.সি। এলাকাবাসীর মতামত দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে গোলাম হায়দার দলের একনিষ্ঠ, নিবেদিতপ্রাণ ও নির্ভীক সৈনিক হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। পাশাপাশি দলীয় নেতা-কর্মীদের কাছে তিনি অনুপ্রেরণার প্রতীক হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে পেরেছেন।
জানা যায়, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও নোয়াখালী জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি হিসেবে গোলাম হায়দার বি.এসসি গত ১৭ বছর ধরে নানা প্রতিকূলতা, মামলা-হামলা ও রাজনৈতিক নিপীড়নের মধ্যেও রাজপথে সক্রিয় ছিলেন। বিগত সরকারের ফ্যাসিবাদী শাসনের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে তিনি নোয়াখালীতে বিএনপির রাজনীতিকে টিকিয়ে রেখেছেন দৃঢ়ভাবে। হরতাল, অবরোধ, মানববন্ধন কিংবা চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানের ডাক- সবক্ষেত্রেই তার উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো।
এই প্রবীন নেতা রাজনীতির পাশাপাশি ব্যবসায়িক অঙ্গনেও সফলতার স্বাক্ষর রেখেছেন। নোয়াখালী চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন সুনামের সঙ্গে। তাঁর নেতৃত্বে জেলার ব্যবসায়ী সমাজ ঐক্যবদ্ধ হয়েছে, বেড়েছে বিনিয়োগ ও উদ্যোক্তা কার্যক্রম। সহকর্মীদের মতে, উন্নয়ন, কর্মসংস্থান ও ন্যায়নিষ্ঠ বাণিজ্য পরিবেশ তৈরিতে তার ভূমিকা প্রশংসনীয়।
দলীয় সহকর্মীদের ভাষায়, এই প্রবীন নেতার নেতৃত্বের দৃঢ়তা ও সাহসিকতায় বর্তমান প্রজন্মের তরুণদেরও অনুপ্রাণিত করেছেন। ছাত্রজনতার আন্দোলন থেকে শুরু করে সর্বশেষ গণঅভ্যুত্থানের আগ পর্যন্ত প্রতিটি রাজনৈতিক কর্মসূচিতে মাঠে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন এই অভিজ্ঞ রাজনীতিক।
নোয়াখালী-৫ (কোম্পানীগঞ্জ-কবিরহাট) আসনে ধানের শীষের সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে ইতোমধ্যে এলাকাবাসীর মাঝে আলোচনা তৈরি করেছেন এ.জেড.এম গোলাম হায়দার বি.এস.সি।
কোম্পানীগঞ্জের এক প্রবীণ নাগরিক বলেন,- ‘গোলাম হায়দার সাহেবের রাজনীতি পরিষ্কার- তিনি জনগণের পাশে থাকতে চান, তার ভিতরে কখনো ক্ষমতার লোভ দেখা যায়নি। তিন শুধু কোম্পানীগঞ্জ-কবিরহাটের সাধারণ মানুষের পাশে থাকা নিরলস চেষ্টা করেছেন। সব থেকে বড় কথা তিনি বিএনপির দুর্দিনে আমাদের এলাকায় বিএনপিকে আবারও সংগঠিত করেছেন।’
আরেক তরুণ ছাত্রদল নেতা বলেন,- ‘আমরা মাঠে নামতে ভয় পাইনি, কারণ গোলাম হায়দারের মত নেতা সবসময় আমাদের পাশে ছিলেন। যেকোনো বিপদে আমরা তার সাহায্য পেয়েছি। তার মতো নেতাই আমাদের জেলার জন্য প্রয়োজন।’
বীর মুক্তিযোদ্ধা, সফল ব্যবসায়ী নেতা এবং সৎ রাজনীতিক- এই তিন পরিচয়ে এ.জেড.এম গোলাম হায়দার বি.এস.সিকে মূল্যায়ন করতে চাইছেন এলাকাবাসী। এলাকাবাসীর বক্তব্য, গোলাম হায়দার প্রমাণ করেছেন আদর্শভিত্তিক রাজনীতি এখনও সম্ভব। আর এ জায়গাটিতেই তাঁকে ঘিরে নতুন করে স্বপ্ন বুনছেন স্থানীয় বিএনপি সমর্থকরা। তাঁরা বিশ্বাস করতে চান, নেতা গোলাম হায়দার সত্যিকারের নিষ্ঠা, সাহস ও মানুষের প্রতি দায়িত্ববোধ নিয়ে কাজ করবেন, যেমনটি করেছেন অতীতে।