সাগর থেকে ট্রলারে ইলিশ বোঝাই করে পাথরঘাটার মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের ঘাটে ফিরতে শুরু করেছেন বরগুনা উপকূলের জেলেরা। ঘাটে ফিরেই দ্রুত ট্রলার মালিক বা আড়তদারদের মাছ বুঝিয়ে দিয়ে আবারো তারা ফিরে যাচ্ছেন গভীর সমুদ্রে।
জেলেরা বলছেন, যে পরিমাণ মাছ আশা করেছিলেন তার চেয়েও বেশি মাছ আটকা পড়েছে তাদের জালে।
সোমবার সকালে দেশের দ্বিতীয় সর্ববৃহৎ মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র (বিএফডিসি) পাথরঘাটায় গিয়ে দেখা যায় ইলিশ বোঝাই ট্রলার একের পর এক ঘাটে ভিরছে। এসব ট্রলারে থাকা জেলেরা দ্রুত মাছ আড়তদারদের কাছে রেখে আবারো ফিরে যাচ্ছেন গভীর সমুদ্রে।
এফবি মা ট্রলারের মাঝি শহিদুল ইসলাম ফকির রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘নিষেধাজ্ঞা মেনে গভীর সাগরে মাছ শিকার করা বন্ধ রেখেছিলাম ৬৫ দিন। ২৩ জুলাই মধ্যরাতে ট্রলার নিয়ে দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরের ফেয়ারওয়ে বয়া এলাকায় গিয়ে জাল ফেলি। শুরুতেই প্রচুর পরিমাণে ইলিশ ধরা পড়ে আমাদের জালে। তাই অতিরিক্ত তেল খরচ করে দ্রুত গতিতে ট্রলার নিয়ে মালিকের কাছে মাছ রাখতে এসেছি আমরা। মাছ নামানো শেষ হলেই আবারও চলে যাবো সাগরে।‘
একই ট্রলারের জেলে বরুন শীল বলেন, ‘৬৫ দিন পর সাগরে গিয়ে প্রচুর পরিমাণে মাছ পেয়েছি। শ্রাবণ মাস, বৃষ্টি হচ্ছে, তাই ইলিশ পানির একদম উপরভাগে চলে এসেছে। তাই সব জেলেদের জালে মাছ ধরা পড়ছে।’
এফবি সাইফুল্লাহ ট্রলারের মাঝি সাদেক আলী বলেন, ‘নিষেধাজ্ঞার দিনগুলোতে অনেক কষ্ট করেছেন জেলেরা। এবার সেই কষ্টের লাগব হয়েছে। আমরা প্রচুর মাছ পাচ্ছি।’
বরগুনা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ কুমার দেব বলেন, ‘জেলেরা ইলিশসহ নানান ধরনের মাছ পাচ্ছেন সাগর মোহনায়। গভীর সাগরে যেসব জেলেরা মাছ শিকার করছেন, তারাও প্রচুর মাছ পাবেন। এসব সরকারের বৈজ্ঞানিক পরিক্ষার ফল। সরকারের নানা তৎপরতার কারণেই প্রচুর মাছ ধরা পড়ছে।’
দেশের সমুদ্র সীমায় মৎস্য সম্পদ বৃদ্ধির লক্ষে সরকার ২০১৯ সাল থেকে ৬৫ দিনের জন্য সাগরে মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা জারি করে।