আল-আমিন: বাউফলে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান (এনজিও) পদক্ষেপ অফিসে অনিয়মের তথ্য সংগ্রহ করতে গেলে বাউফল প্রেসক্লাবের সদস্য, দৈনিক পর্যবেক্ষণ ও দৈনিক শাহনামা পত্রিকার প্রতিনিধি মো. রইসুল ইসলাম ইমন কে সংবাদ প্রকাশনা করতে নানা ধরনের হুমকি দিয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন ওই প্রতিষ্ঠানের মোঃ ইউনুস ও মোঃ হাফিজুর রহমান নামের দুই মাঠ কর্মী। এক পর্যায়ে তারা ওই সংবাদকর্মীকে অবরুদ্ধ করে রাখে। এসময় সংবাদ পরিবেশন না করার জন্য সাদা কাগজে মুচলেকা চাওয়া হয়। পরে কৌশলে ইমন তার অন্য সহকর্মীদের বিষয়টি জানালে তারা গিয়ে ওই সংবাদকর্মীকে উদ্ধার করে নিয়ে আসে।

সোমবার (১০ এপ্রিল) বিকেল সারে ৫টার দিকে বাউফল সরকারি কলেজ রোড এলাকায় পদক্ষেপ কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। এ বিষয়ে বাউফল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছে ওই সংবাদকর্মী। জানা গেছে, মর্জিনা নামের একজন মহিলা পদক্ষেপের সদস্য কালাইয়া কলেজ রোড কেন্দ্র থেকে ৫০ হাজার টাকা লোন উওোলন করেন। লোন উওোলনের সময় নীতিমালা অমান্য করে মর্জিনার কাছ থেকে সাদা চেক নেন পদক্ষেপ কর্মীরা। মর্জিনা ৪৬ কিস্তির মধ্যে ২৩ কিস্তি পরিষদ করেন। পরবর্তীতে পদক্ষেপ কর্মীরা মর্জিনার বাসায় গিয়ে জোরপূর্বক তার সেলাই মেশিনসহ কিছু মালামাল নিয়ে আসে।

এর কিছুদিন পরে মর্জিনার বিরুদ্ধে সাদা চেক পাতায় ৫০ হাজার টাকার চেক ডিজ অনারের মামলা দায়ের করে পদক্ষেপ। বিষয়টি সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করতে পদক্ষেপ বাউফল সরকারি কলেজ রোড অফিসে যায় সংবাদকর্মী মো. রইসুল ইসলাম। তখন সংবাদকর্মী রইসুল ইসলামকে এ বিষয়ে নিউজ প্রকাশ না করার জন্য নানা রকম হুমকি দেয় পদক্ষেপের সদস্যরা। এক পর্যায়ে তাকে অবরুদ্ধ করে সাদা কাগজে নিউজ প্রকাশ করবেনা বলে মুছলেকা দাবী করে পদক্ষেপ সদস্যরা।

পরবর্তীতে অন্যান্য সংবাদকর্মীদের সহযোগিতায় তিনি মুক্ত হন। এ বিষয়ে জানতে ‘পদক্ষেপ’ বাউফল কার্যালয়ের শাখা ব্যবস্থাপক আবুল বশারের মুঠোফোনে বলেন, আটকিয়ে বা অবরুদ্ধ করে রাখার কোন ঘটনা ঘটেনি। শুনেছি কথার কাটাকাটি হয়েছে। আপনি কোথায় আছেন অফিসে আসেন সামনাসামনি কথা হবে। বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) এটি এম আরিচুল হক বলেন, সাধারণ ডায়েরি হয়েছে। এ বিষয়ে আইনী পদক্ষেপ প্রক্রিয়াধীন।