দেলোয়ার জাহান ঝন্টু।
আগে পিছে আর কিছু বলার প্রয়োজন পড়ে না। বীর মুক্তিযোদ্ধা। চলচ্চিত্র পরিচালক, প্রযোজক, গীতিকবি, সুরকার, চিত্রনাট্যকার, কাহিনীকার, চলচ্চিত্র সম্পাদক, চিত্রগ্রাহক এবং সঙ্গীত পরিচালক। পাশাপাশি একজন ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার। তাঁর বাবা ছিলেন কৃষি কর্মকর্তা। শৈশব কেটেছে বিভিন্ন স্থানে। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজে পড়ার সময়ই অংকে পারদর্শী হিসেবে খ্যাত ছিলেন। পরে পাক জার্মান টেকনিক্যাল থেকে মেকানিকাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে ডিপ্লোমা করেন।
বালক বেলা থেকেই সিনেমার প্রতি ছিলো দুর্নিবার আকর্ষণ। বাবার পোস্টিং যেখানেই থাক, সেখানেই স্কুলের চাইতে চলচ্চিত্র দেখাকে প্রাধান্য দিয়ে, বকুনি খাওয়া ছিলো তার নৈমিত্তিক। তবে অদ্ভুত ছিলো ঝন্টু ভাইয়ের স্মরণ শক্তি। সেই ছোট বেলা থেকে যত সিনেমা দেখেছেন আজ অব্দি তার একটি দৃশ্যও ভোলেননি। সিনেমার প্রতি সেই নেশা থেকেই জড়িয়ে পড়েন চলচ্চিত্রের সঙ্গে।
কাহিনী, চিত্রনাট্য ও সংলাপ রচনা দিয়ে শুরু। এ পর্যন্ত মোট কতটা ছবির কাহিনী, চিত্রনাট্য ও সংলাপ লিখেছেন তার সঠিক পরিসংখ্যান পাওয়া যায় না। তবে, ধারনা করা হয় এর সংখ্যা প্রায় চারশত। পরবর্তীতে তিনি জড়িয়ে পড়েন চলচ্চিত্র প্রযোজনা, পরিচালনা সহ আরও নানান শাখায়। দেলোয়ার জাহান ঝন্টু পরিচালিত ছবির সংখ্যা আনুমানিক ৭৫ টি। শ্রেষ্ঠ চিত্রনাট্যকার হিসেবে পেয়েছেন জাতীয় পুরস্কার। পেয়েছেন চ্যানেল আই সম্মাননা সহ আরও অনেক পুরস্কার, পদক ও সম্মাননা। বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতি‘র সভাপতি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি।
গুগল বা উইকিপিডিয়ায় দেলোয়ার জাহান ঝন্টু সম্পর্কে বিস্তারিত কোন তথ্য পাওয়া যায়না। নেই সেখানে ঝন্টু ভাইয়ের জন্মতারিখ। পরিচালকদের তথ্য সম্বলিত কোন ওয়েব সাইট বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতি’র নাই। তথ্য মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্রে জানা যায়, চলচ্চিত্রের এই খ্যতিমান মানুষটি ১৯৪৯ সালের ২ সেপ্টেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জন্মগ্রহণ করেন।
একরাশ শুভেচ্ছা, শ্রদ্ধা এবং ভালোবাসা ঝন্টু ভাইয়ের জন্মদিনে।
সূত্রঃ কাহিনীকার, সাংবাদিক মুজতবা সউদ এর ফেসবুক পোষ্ট থেকে সংগৃহীত।