বৃহস্পতিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৯:৪৪ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
‘আজীবন সম্মাননায়’ ভূষিত হচ্ছেন ডলি জহুর, চঞ্চল মাহমুদ ও মুনমুন আহমেদ বিশ্বের সবচেয়ে বড় পর্দায় মুক্তি পাবে শাহরুখের ‘জওয়ান’ অভিনেত্রী কান্তা বৃষ্টি’র মিডিয়ার পথ চলা দীর্ঘদিন পরে মঞ্চ নাটকে কৌতুক অভিনেতা উত্তম অধিকারী মেহেন্দিগঞ্জে ব্যারিষ্টার এ এম মাছুম এর দেওয়া সম্মাননা পেয়ে উচ্ছ্বসিত কৃতি শিক্ষার্থীরা ব্যারিষ্টার এ. এম মাছুম এর মহতি উদ্যােগে মেহেন্দিগঞ্জে কৃতি শিক্ষার্থীদের বৃত্তি প্রদান ও পুরস্কারের আয়োজন বাবিসাস সভাপতি আবুল হোসেন মজুমদার, সাধারণ সম্পাদক সামছুল হুদা বিভেদ ভুলে ঐক্যবদ্ধ হউন মেহেন্দিগঞ্জে আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় ড. শাম্মি আহমেদ নাট্যজন শ্যামল অধিকারী পদক অনুষ্ঠান ও দুই বাংলার কবিদের মিলনমেলা জয় ঘুমাচ্ছে বেঞ্চে মাটিতে বসে শাকিব, সোশ্যাল মিডিয়ায় ছবি ভাইরাল

আজ কিংবদন্তী নায়িকা কবরীর শুভ জন্মদিন

সুহৃদ রোমিও
  • প্রকাশ সময়ঃ বুধবার, ২০ জুলাই, ২০২২
  • ৩৬২ বার পড়া হয়েছে

কবরী। বাংলাদেশের চলচ্চিত্র ইতিহাস তাঁকে ছাড়া অসম্পূর্ণ। এই শিল্পের ভিত শক্ত করেছেন কবরী। অসাধারণ অভিনয় নৈপুণ্য সমৃদ্ধ এই নায়িকা আপামর জনসাধারণের কাছে ছিলেন জনপ্রিয়। চলচ্চিত্র সংস্কৃতিতে কিংবা রাজনৈতিক অংগনে তাঁর ইতিহাস এতটাই ব্যাপক যে তা লিখলে, কয়েক খন্ডের গ্রন্থ হয়ে যাবে। শুধু চলচ্চিত্রেই তাঁর অবদান লিখা কোন ক্ষুদ্র পরিসরে সম্ভব নয়। বলা যেতে পারে তিনি ছিলেন চলচ্চিত্রের এক কিংবদন্তি, ছিলেন এক মহা তারকা। চট্টগ্রাম জেলার বোয়ালখালীতে মীনা পাল ওরফে কবরীর জন্ম হলেও, তাঁর শৈশব জীবন ছিলো চট্টগ্রাম শহরেই।

পড়াশোনার পাশাপাশি তিনি নৃত্যশিল্পী হিসেবেও খ্যাত হন। মাত্র ১৩ বছর বয়সে চট্টগ্রামের এক অনুষ্ঠান মঞ্চে নৃত্য পরিবেশন করে সবার প্রশংসা অর্জন করেন। এই প্রশংসা পৌঁছে যায় প্রখ্যাত পরিচালক সুভাষ দত্তের কাছে। তিনি যোগাযোগ করেন। মিষ্টি মুখ, কন্ঠস্বর, সাবলীল কথা সব কিছুই উপযুক্ত মনে হওয়ার তিনি মীনা পাল ওরফে কবরীকে তাঁর ছবির জন্য নির্বাচন করেন। প্রখ্যাত কাহিনী, চিত্রনাট্য ও সংলাপ রচয়িতা, সাংবাদিক এবং সব্যসাচী লেখক সৈয়দ শামসুল হক, মীনা পাল নামটি পরিবর্তন করে তাঁর নাম রাখেন কবরী। ১৯৬৪ সালে সুভাষ দত্ত পরিচালিত “সুতরাং” ছবির মধ্য দিয়ে চলচ্চিত্রে অভিষেক ঘটে কবরীর। দেশে বিপুল ব্যাবসায়িক সাফল্যের পাশাপাশি তাসখন্দ চলচ্চিত্র উৎসবে ছবিটি এবং কবরীর অভিনয় প্রশংসিত হয়। ১৯৬৫ সালে ফ্রাংকফুর্ট চলচ্চিত্র উৎসবে দ্বিতীয় শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র হিসেবে পুরস্কৃত হয় “সুতরাং”। বলা বাহুল্য এরপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি চলচ্চিত্রের এই কিংবদন্তিকে।

অভিনয় ছাড়া, তিনি ছবি পরিচালনাও করেছেন। পাশাপাশি তিনি রাজনীতিতেও ছিলেন সক্রিয়। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনয়নে তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। “বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট” গঠিত হবার পর এর পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠিত হলে, তিনি ছিলেন প্রথম সাধারণ সম্পাদক। ২০২১ সালের ১৭ এপ্রিল মৃত্যুর আগে পর্যন্ত কবরী ছিলেন এই জোটের (একাংশের) সভাপতি। সারাহ বেগম কবরী দুইবার জাতীয় পুরস্কার অর্জন ছাড়াও পেয়েছেন আজীবন সম্মাননা। প্রথমবার সহ ছয়বার পেয়েছেন বাচসাস পুরস্কার। উত্তরণের জহীর রায়হান পুরস্কার, সিকোয়েন্স পুরস্কার, মেরিল- প্রথম আলো আজীবন সম্মাননা সহ অনেক অনেক দেশি-বিদেশি পুরস্কার, পদক ও সম্মাননা প্রাপ্ত এই কিংবদন্তি ১৯৫০ সালের ১৯ জুলাই জন্মগ্রহণ করেন। শ্রদ্ধা এবং শুভেচ্ছা বাংলাদেশের এই অবিসংবাদিত শিল্পীর স্মৃতির প্রতি।

 

 

 

 

 

 

 

ছবিঃ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, জননেত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে। শিশুদের মাঝে। চিত্রালী পাঠক পাঠিকা চলচ্চিত্র সংসদ (চিপাচস) সদস্যদের সঙ্গে। ‘তিতাস একটি নদীর নাম’ ছবিতে। সুতরাং ছবিতে। ‘মাসুদ রানা’ ছবিতে। ত্রান বিতরণ করছেন কবরী।

দয়া করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর
September 2023
S M T W T F S
 123
45678910
11121314151617
18192021222324
25262728293031